পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইসাব এর সভাপতি জহির উদ্দিন বাবরের নেতৃত্বে ইসাবের একটি প্রতিনিধি দল বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে বিজিএমইএ এর গুলশান পিআর অফিসে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, ইসাবের মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি উপস্থিত ছিলেন। তারা পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে বিগত বছরগুলোতে শিল্প নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে যে অভূতপূর্ব উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছে এবং এক্ষেত্রে যে অনন্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ পোশাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটেছে। তিনি বলেন, স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন, সেইসাথে উদ্যোক্তাদের দৃঢ় সংকল্প, প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগের ফলে এই অর্জন এসেছে। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শিল্প তার উদ্যোগ গুলো অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইসাব তার সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ক্ষেত্রে শিল্পকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসাবের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর বলেন, শিল্প উন্নয়নে পোশাক শিল্পের পাশে থাকতে পেরে ইসাব গর্বিত। তিনি আশা করেন এই চলমান প্রক্রিয়া বজায় থাকবে এবং টেকসই শিল্প উন্নয়নে ইসাব এবং বিজিএমইএ একসাথে কাজে করে যাবে।
ইসাবের মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন এখন সময় এসেছে গর্বের সাথে বাংলাদেশের সঠিক কান্ট্রিব্রান্ডিং করার। এই অর্জনে প্রতিনিয়ত ইসাব সদস্যরা নতুন প্রযুক্তি এবং সর্বোৎকৃষ্ট মানের অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।