পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) খাতের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্বোধনকালে তিনি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের কার্যক্রম প্রেসিডেন্ট উদ্বোধন করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রযুক্তি উন্নয়নের হাতিয়ার। তাই অনুকরণের পরিবর্তে আমাদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। জিডিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের নতুন ও পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
আব্দুল হামিদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। এর ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও অগ্রগতির অপার সম্ভাবনার পাশাপাশি বহুমুখী চ্যালেঞ্জেরও সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে প্রযুক্তি দ্রুত পরিরর্তিত হচ্ছে। এমনকি প্রযুক্তি এতোটাই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে- এর ফলে অনেক প্রযুক্তি অচল হয়ে যাচ্ছে।
তিনি সকল- ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অপব্যবহার রোধ এবং এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির ফলে সৃষ্ট সকল সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। বুদ্ধিমত্তা ও নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতার দিক থেকে যুবসমাজকে যথেষ্ট দক্ষ ও উদ্যোগী। এজন্য, তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে, তারা দেশকে কাঙিখত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। মুজিব শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আমাদের একইসাথে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দুনিয়া বদলে দেওয়া করোনা মহামারী মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে দূরে থেকেও আমরা পরস্পর সংযুক্ত থাকতে পারছি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী ও আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র একটা যুগসন্ধিক্ষণ হচ্ছে ২০২১ সাল। এই যুগসন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে আমাদের নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে সফলতার পথ ধরে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের পথে আরও সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারবো এ প্রত্যাশা করছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ্, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং বঙ্গভবন সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।