গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কার্যক্রম। বেসরকারি এই অপারেটরটির কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে গতকাল (রোববার) টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে অপারেটরটির জন্য বরাদ্দকৃত স্পেকট্রাম ওই সময়ে বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনার পর তা বাস্তবায়নে সব প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।
অন্যদিকে সিটিসেল কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপারেটরটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে একটি চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠিতে জানানো হয়, সিটিসেলে বিনিয়োগের জন্য একটি মেক্সিকান ও একটি চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টেলিযোগাযোগ আইন পর্যালোচনা করে গত বৃহস্পতিবার সিটিসেল বন্ধের বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সিটিসেল বন্ধের জন্য বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয় ওই সিদ্ধান্তে। এ ছাড়া টুজি লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নবায়ন ফিসহ সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিলসহ কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে বিটিআরসি। সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নিতে সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট নোটিশ জারি করে সাত দিন সময়সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। ওই সাত দিন শেষ হবে ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১২টায়।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে নিয়ম অনুযায়ী বিকল্প খুঁজে নিতে সিটিসেলের গ্রাহকদের সাত দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নিয়মের বাইরে কিছুই হচ্ছে না।
এদিকে সিটিসেলের স্থানে টেলিকম খাতে বড় বিনিয়োগের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে মেক্সিকোর বড় একটি টেলিকম কোম্পানির বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে সরকারের উচ্চ পর্যায়কে লেখা সিটিসেল কর্তৃপক্ষের একটি চিঠিতেও একটি মেক্সিকো ও একটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সিটিসেলের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত বৃহস্পতিবার অপারেটরটিকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। জবাব দেওয়ার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, লাইসেন্স বাতিলে কারণ দর্শানোর সময় এবং সিটিসেলের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি পৃথক। কারণ আইন অনুযায়ী বকেয়া রাজস্ব না পেলে যে কোনো মুহূর্তে বিটিআরসি যে কোনো অপারেটরের কার্যক্রম বন্ধের এখতিয়ার রাখে। কার্যক্রম বন্ধ রেখেই লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলতে পারে। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।