পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কার্যত ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র কেল ব্রাউন এক বিবৃতিতে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর এবং নতুন করে আরো স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ জানান। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ ধরনের যে কোনো স্থানান্তর অবশ্যই তথ্যভিত্তিক সম্মতি ও স্বেচ্ছায় হতে হবে। কোনো ধরনের চাপ বা বল প্রয়োগ করা যাবে না।
বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলে আসছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি পুরোপুরি স্বেচ্ছায় ও পূর্ণ সম্মতির ভিত্তিতে হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারের ওপর চাপ কমাতেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাউকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে না। যারা যেতে চাইছেন কেবল তাদেরই স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সব দেশ মানবাধিকারের বড় বড় কথা বলে তারা কেউই রোহিঙ্গাদের নেয়নি, উদ্ধার করেনি। ভাসানচর নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার বলেছে, রোহিঙ্গারা চাইলে ভাসানচর থেকে মূল ভূখন্ডে ফিরতে পারবে এমনটিই বলেছে বাংলাদেশ। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আসা যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার দেখাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক সেবা ও জীবিকার অধিকার থাকা উচিত বলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। জাতিসংঘসহ সমমনা দাতাদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র ভাসানচরের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও আগ্রহের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য কারিগরি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ করার আহ্বান জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিবৃতিতে খুব কম কথাই বলা হয়েছে মিয়ানমার নিয়ে। সেখানে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান রয়েছে। পরিবেশ সৃষ্টিতে উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত তিন বছরের বেশি সময় ধরেই এমন আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেই আহ্বান না শোনায় মিয়ানমারের ওপর কার্যকর কোনো ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্র নিচ্ছে না। এমনকি ভূরাজনৈতিক স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নিপীড়নকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে এখনও স্বীকার করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র তার বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তার ফিরিস্তি তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স¤প্রদায়ের কথা শোনার ছবক দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করা উচিত।
বাংলাদেশ সম্প্রতি জাতিসংঘ ও বড় দেশগুলোকে মিয়ানমারকে তোয়াজ না করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ বড় দেশগুলো মিয়ানমারের বিরূদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পেরে রোহিঙ্গা আশ্রয় ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশার চাপ বাড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।