নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। শাস্তি পাওয়ার পরও শুনিয়েছিলেন একই কথা। আশায় ছিলেন, হয়তো আপিল নিজের পক্ষে আসবে। কিন্তু সেখানেও রবিনহোর একই দশা। আর কোনও অভিযোগ নয়, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধে জুড়ে গিয়েছিল তার নাম! অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্রাজিলিয়ান তারকা ৯ বছর জেল হয়। সেই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করলেও কোনও লাভ হয়নি। মিলানের আদালত তার শাস্তি বহাল রেখেছেন।
ঘটনাটা ২০১৩ সালের। মিলানের এক নাইটক্লাবে ২২ বছর বয়সী আলবেনিয়ান এক তরুণীকে মদ্যপান করিয়ে রবিনহো গণধর্ষণ করেছিলেন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে। রবিনহোর সঙ্গে আরেকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল, তার নাম রিকার্দো ফালকাও। বাকি চারজনের ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বাইরে রেখেই প্রায় ৪ বছর পর ২০১৭ সালে রায় দিয়েছিলেন মিলানের আদালত।
ইতালির আইন অনুযায়ী, আপিল প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাস্তি কার্যকর হয় না। তাই ২০১৭ সালে ৯ বছরের জেল হলেও শাস্তি ভোগ করতে হয়নি এতদিন। তবে এখন আপিল বাতিল করায় ৩৬ বছর বয়সী তারকাকে জেলে যেতেই হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ওই আলবেনিয়ান তরুণীর আইনজীবী ইয়াকোপো জিনোচ্চি ইতালিয়ান মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এই শাস্তি মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিতের বড় উদাহরণ। একই সঙ্গে এতে প্রমাণ হলো যখন প্রয়োজন, তখন নিয়ম ঠিকই কাজ করে।’
দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে পেশাদারি ক্যারিয়ারে পা রেখেছিলেন রবিনহো। কিংবদন্তি পেলের ছায়াও খোঁজা হচ্ছিল তার মাঝে। সান্তোস ছেড়ে ২০০৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে নেমেছিলেন ‘আসল’ মিশনে। কিন্তু প্রত্যাশার জবাবটা একেবারেই দিতে পারেননি তিনি। তিন বছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাটিয়ে ২০০৮ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। দুই বছরের প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ার শেষে ২০১০ সালে নাম লেখান এসি মিলানে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মিলানে থাকার সময়েই তার বিরুদ্ধে ওঠে ধর্ষণের অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।