Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফোর্বসের তালিকায় পাকিস্তানের তিন তারকার নাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

জনপ্রিয় মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ তারকার মধ্যে স্থান পেয়েছেন পাকিস্তানের তিন তারকা মহিরা খান, আতিফ আসলাম এবং আইমন খান। করোনা মহামারীর মধ্যে ও তারা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তারা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন।
ফোর্বস অনুসারে, ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা, মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মহিরা খান তার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহান করেন। ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় ৭০ লাখ এবং ফেসবুকে ৪০ লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।’ ৩৫ বছর বয়সী মহিরা খান চলতি বছর পাকিস্তানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র ‘দ্য লেজেন্ড অফ মওলা জট’ দিয়ে পর্দায় ফিরে আসবেন।

লকডাউনের সময়কালে ঘরে বসে আশা হারিয়ে ফেলা মানুষদের জন্য পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম মুক্তি দিয়েছিলেন ‘আসমা-উল-হুসনা’। দুঃখ ও হতাশার সময়ে তার অনুগামীদেরকে উৎসাহিত করার জন্য আল্লাহর ৯৯টি নাম গানের ভেতর উচ্চারণ করেন তিনি। তার গানটি ইউটিউবে ২ কোটি ২০ লাখবার দেখা হয়েছে। ফোর্বস জানায়, এই গায়ক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তার ২০ লাখ ফেসবুক অনুসরণকারীকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

প্রায় ৮০ লাখ অনুসরণকারীর কারণে আইমন খান (আইমন মুনিব) হচ্ছেন ইনস্টাগ্রামে সর্বাধিক অনুসরণ পাওয়া পাকিস্তানি সেলিব্রিটি। তিনি এবং তার যমজ বোন মিনাল পোশাকের সাইট আইমন মিনাল ক্লোসেট পরিচালনা করেন, যার ইতিমধ্যে ২ লাখ ৪৯ হাজার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার রয়েছে। টিভি শো ইশক তামাশা ও বান্দিতে অভিনয়ের জন্য গত বছর তিনি পাকিস্তানের হুম অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেত্রী হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন।
বলিউডের তারকাদের মধ্যে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, অক্ষয় কুমার (বলিউডের সর্বাধিক বেতনের অভিনেতা), অমিতাভ বচ্চন (২০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রের অভিনেতা), আলিয়া ভাট (ভারতের সর্বাধিক বেতনের অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম), শাহরুখ খান, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, রণভীর সিং, হৃতিক রোশন, শহীদ কাপুর, নেহা কাক্কার, মাধুরী দীক্ষিত এবং ক্যাটরিনা কাইফ। সূত্র : ডন।

গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল দাবি খেলাফত মজলিসের
রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের সরকারি ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে চিনিকলগুলো খুলে দিয়ে পুনরায় আখ মাড়াই শুরুর দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, আখ কাটার ভরা মৌসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কল-পাবনা সুগারমিল, শ্যামপুর সুগারমিল, পঞ্চগড় সুগারমিল, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল, রংপুর সুগারমিল ও কুষ্টিয়া সুগারমিলে আখ মাড়াই ও উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মৌসুমের মাঝখানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের এ পদক্ষেপের ফলে লাখ লাখ একর জমিতে উৎপাদিত আখ নিয়ে দেশের আখ চাষিরা মহাবিপদের সম্মুখীন হয়ে পরেছে। অন্যদিকে হাজার হাজার চিনিকল শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছে। ভরা মৌসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের এ সিদ্ধান্ত গণবিরোধী। দেশের চিনি শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই সরকার মৌসুমের মাঝখানে রাষ্ট্রায়ত্ত ঐতিহ্যবাহী চিনিকলগলো বন্ধ করে দিয়েছে। করোনার দুর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্যে চিনিকল শ্রমিকদের কর্মহীন করা ও আখ চাষীদের ঊপাদিত আখ নিয়ে বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়া অত্যন্ত অমানবিক। একইসাথে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে দেশে চিনির ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। যে কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে সেই লোকসানের মূল কারণ হচ্ছে কারখানাগুলোতে দলীয়করণ, দুর্নীতি, লুটপাট। বিরজমান দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করতে পারলেই চিনিকলের লোকসান বন্ধ করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ