মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরবের যেখানেই যুদ্ধ হবে সেখানেই শিয়াদের রক্ষায় প্রশিক্ষণ দেবে এই বাহিনী
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরান শিয়া লিবারেশন আর্মি নামে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট চালু করেছে। এটি শুধু আরব দেশগুলোতেই মোতায়েন করা হবে। ইরানের আল-মাশরিক নামের একটি গণমাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-ফালাকি এক সাক্ষাৎকারে বিশেষ ইউনিট গঠনের কথা জানিয়েছেন। ফালাকি বলেন, কাসিম সুলেইমানির নেতৃত্বে এই শিয়া লিবারেশন আর্মি গঠন করা হয়েছে। এই বাহিনী বর্তমানে সিরিয়ায় শিয়া যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। উল্লেখ্য, সুলেইমানি ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের এলিট ফোর্সের প্রধান ছিলেন। তবে এই বাহিনীর আকার কতটা বড় হবে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি সুলেইমানি।
ফালাকি বলেন, আরবের যেখানেই যুদ্ধ হবে সেখানেই স্থানীয় শিয়াদের প্রশিক্ষণ দিতে এবং তাদের সাহায্য করতে এই বাহিনী থেকে লোক যাবে। তারা সেখানে বিশেষ বাহিনী গঠন করবে। সিরিয়া প্রসঙ্গে ফালাকি বলেন, সিরিয়া যুদ্ধে ইরানি সেনাদের পুরোপুরি জড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমাদের প্রতি আস্থাশীল লোকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং অস্ত্র সরবরাহ করেই এই যুদ্ধে অংশ নেয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত ইরানি জেনারেলকে সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। তারা সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি আলেপ্পো, ইপরিন, খান তোমান এবং আল-হাদিরের যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে আল-ফালাকি অন্যতম। উল্লেখ্য, ইরানের এসব সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা আশির দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই মুহূর্তে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশে শিয়া-সুন্নি লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছে। সিরিয়া এবং ইয়েমেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জানা গেছে, ইরান শিয়া মুসলিমদের স্বার্থরক্ষায় প্রতিটি দেশে একটি করে মোট তিনটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করবে। আর এতে অংশ নেবে এই নতুন শিয়া বাহিনী। যুদ্ধরত সেনাদের মাসিক ১০০ ডলার করে বেতন দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ফালাকি। চলতি বছর জানুয়ারিতে সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের শিয়াদের সিরিয়াযুদ্ধে পাঠাতে ইরান নানা রকম প্রলোভন দেখায়। মাসিক বেতনের ভিত্তিতে ইরান সিরিয়া যুদ্ধের জন্য আফগানিস্তান থেকে শিয়া যোদ্ধা নিয়োগ করে। এসব যোদ্ধা সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের হয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সিরিয়ার ইসরাইল সীমান্তে যুদ্ধরত এই ব্রিগেডকে প্রধান সেনাশক্তি হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি, রাশিয়া এবং তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ জড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সিরিয়ায় আইএস দমনে বিমান হামলা চালালেও সেখানে দেশ দুটি কোনো পদাতিক বাহিনী পাঠায়নি। সম্প্রতি সিরিয়ার সংকট নিরসনে রুশ-তুর্কি-ইরানি জোট গঠনের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান রাশিয়া সফর শেষে ইরানে গেছেন। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।