পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুয়াশার চাদরে মোড়া প্রায় সারা দেশ। মাঝরাতে শুরু হয়ে সকাল অবধি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়ছে টিপ টিপ বৃষ্টির মতো। সেই সাথে আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মেঘলা আবহাওয়ায় উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে। গতকাল সোমবা সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তেঁতুলিয়ায় ৫ মিলিমিটার। তাছাড়া সমগ্র দেশে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য বর্ষাকালীন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছে গেছে। সকালে ঢাকার বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার ছিল ৯৮ এবং সন্ধ্যায়ও ৮৪ শতাংশ। যা অগ্রহায়ণের শেষ দিকে শীতঋতুর দ্বারপ্রান্তে এসে অস্বাভাবিক।
অসময়ের মেঘমালা, অত্যধিক হারে বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের সাথে ধুলোবালি-ধোঁয়া মিশে গিয়ে বাতাসে ভাসমান বায়ু দূষণের মাত্রা মারাত্মক ক্ষতিকর পর্যায়ে ঠেকেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকায় বায়ুমানের সূচক (একিউআই) ছিল ২১৫, চট্টগ্রামে ২১৩-তে। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট-হাঁপানি, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, সাইনাস, ফুসফুসের সমস্যাজনিত রোগব্যাধির ঝুঁকি বেড়েছে। এ ধরনের ব্যাপক ধুলোদূষণের মধ্যে চলাফেরা শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ এ জাতীয় রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। শীতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা বৃদ্ধিকালে এ নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোরশেদ আলম জানান, এ সময়ে ধুলোবালি, ধোঁয়া, কুয়াশা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। ঘরের বাইরে গেলেই শরীর ঢেকে চলাফেরা, মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। ঘরে ফিরে ভালোভাবে হাতমুখ ধোয়া, গোসল করাও প্রয়োজন। শ্বাসকষ্টের রোগীদের আরও সতর্ক থাকা উচিৎ।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, আবহাওয়া-জলবায়ুর খেয়ালী, এলোমেলো আচরণ অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপরতল উত্তপ্ত রয়েছে। স্বাভাবিক হার ২৭/২৮ ডিগ্রির চেয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সে. এমনকি তারও ঊর্ধ্বে বিরাজ করছে। চলতি বছরের প্রায় শুরু থেকে এ যাবত তপ্ত-উষ্ণ বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘন ঘন লঘুচাপ-নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। অনবরত গরম ও গুমোট সামুদ্রিক আবহাওয়ায় লঘুচাপের ঘনঘটা কাটেনি এখনও।
তাছাড়া একই কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে ছুটে আসছে ছোট-বড় আয়তনের মেঘমালা। পূবালী বায়ুর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর সংযোগে উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে। অন্যদিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক হিমালয় পাদদেশ থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে আসছে হিমেল হাওয়া।
তবে দক্ষিণ দিক থেকে আসা মেঘের ভেলার কারণে উত্তরের শীতল বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এরফলে শীত আসি আসি করেও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ এখন সহনীয় রয়েছে। কিন্তু কুয়াশা, মেঘ ও জলীয়বাষ্পের কারণে সূর্যের তেজ কমে গেছে। কনকনে হাওয়ায় বেড়েছে শীতের কামড়। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ১৪ এবং সর্বোচ্চ যশোরে ৩০ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৮.২ এবং সর্বনিম্ন ১৮.৬ ডিগ্রি সে.।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা এবং নদ-নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এরপরের ৫ দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।