বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা বেগম (১৬) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের খুরমা (উত্তর) পেশকারগাঁও গ্রামের মখন মিয়ার কলোনী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে, ফাতেমার মা মনোয়ারা বেগমের অভিযোগ তার মেয়েকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হত্যার পর রশি দিয়ে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, মেয়ের লাশ গোসল দেয়ার সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে+ আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
খবর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, গত ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ে ফাতেমাকে অলংকারি ইউনিয়নের আমল নগর গ্রামের মৃত রইছ আলীর পুত্র রফিক আলীর সাথে বিবাহ দেন। প্রথমেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিবাহ করেন রফিক আলী। বিবাহের পর থেকেই মেয়ের স্বামী রফিক আলী শশুর বাড়ির কাছে নানা আবদার করত। কিন্তু ফাতেমার মা-বাবা দিন মজুর থাকায় মেয়ের স্বামীর সকল আবদার পুরণ করতে পারেনি। গতকাল শনিবার দুপুরে ফাতেমা তার মাকে মোবাইল ফোনে জানায়, তার স্বামীর তাকে মারপিট করেছে। এর পর থেকেই আর ফতেমার সাথে কথা বলতে পারেনি তার বাবা-মা। সন্ধায় খরব আসে ফাতেমা নাকি আতœহত্যা করেছে। ফাতেমার ১০ বছরের এক ছোট ভাই জানায়, ১০/১২ দিন পূর্বে সে ফাতেমার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তখন কাচা লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে না পারায় তার স্বামী বেধড়ক অমানবিকভাবে লাটি পেটা করেছে। পরে বাড়ির লোকজন এসে ফাতেমাকে রক্ষা করেছে। নতুবা ঐদিনই তাকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলত।
এদিকে ফাতেমার লাশ স্বামীর বাড়ির লোকজন তাদের এলাকায় দাফন না করে সিলেট মানিক পীর টিলায় দাফন করতে চাইলে ফাতেমার মা-বাবা বাঁধা দেন এবং লাশ বিশ^নাথ পৌর এলাকার মুফতির গাঁও গ্রামে দাফন করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা ইনকিলাবকে জানান, লাশের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরও ময়না তদন্তে হত্যার প্রমান পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।