নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নামার আগে উসাইন বোল্ট ঘোষণা দিয়েছেন এটাই তার শেষ অলিম্পিক। ২০০ মিটারের পরও একই ঘোষণা। তবে ৪*১০০ মিটার স্প্রিন্ট জয়ের পর পার্টনার বেøক দেখতে চান টোকিও ২০২০এও বোল্টকেÑ‘উসাইনের দরকার ছিল অমর হওয়ার এবং সে অমর হতে পেরেছে। আমি তাকে ২০২০ এ ফিরতে উৎসাহ দিচ্ছি।’
রিও তার শেষ অলিম্পিক, আগামী বছরে ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে নিবেন গুডবাই। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা এখন করছেন বিবেচনা বোল্ট। দেখা যেতে পারে টোকিওতেওÑ‘ তোমরা ভাবছ, ৩৪ এ এমন দ্রæত দৌড়–তে পারব না। কিন্তু ৩৫ এ তো আরো দ্রæত দৌড়–তে পারি। কখনো বলিনি এটাই আমার শেষ অলিম্পিক। আসলে এই অলিম্পিক আমাকে আগামী বছরের অনুষ্ঠেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আরো ক্ষুধার্ত করেছে। আমার কোচ গেøন মাইলস সব সময় বলছেন, উসাইন তুমি চাইলে ২০২০ অলিম্পিকেও যেতে পার। সে কারণেই অবসর নিয়ে আমি যে কথাগুলো বলেছি, সে সব কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। সে জন্যই অবসর ঘোষণায় এক বছর সময় নিয়েছি। আমি অবশ্যই অবসর ভাবনা পুনরায় বিবেচনা করছি। আমার সমর্থকরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। স্পন্সররাও তাদের স্পন্সর অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে বলেছে। কোচের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন আমার পক্ষে সম্ভব। তাই এক বছর বাড়িয়ে নিয়েছি।’
বিশ্ব ক্রীড়ায় সর্বাধিক আয়ে যে ৩০ জন ক্রীড়াবিদের তালিকা আছে, ওই তালিকায় আছেন বোল্ট এবং তা স্পোর্টস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পুমা’র কল্যাণেই। বছরে ৩০ থেকে ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন উসাইন বোল্ট, তার মধ্যে পুমা’র অর্থায়নের পরিমান ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উসাইন বোল্টের বয়স যখন মাত্র ১৫, তখন থেকে পুমা তার স্পন্সর। এই পুমা’র লোগো জার্সিতে পরে, তাদের কেডস পরে ১১ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দ্রæততম এই মানব। তাই পুমা উসাইন বোল্টকে তার ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছে। ৪*১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয়ে অলিম্পিক থেকে ৯ স্বর্ণে গ্রেটেস্ট খেতাবে থেমে যাক উসাইন বোল্টের ক্যারিয়ার, তা চাইছেন না পুমা’র সিওই গালডেন।
স্প্রিন্টের একটি ইভেন্টে দৌড় থেকে কতো আয় করেন উসাইন বোল্ট, জানেন? কম করে হলেও ১ লাখ ডলার। কখনো কখনো তা উঠে যায় ৪ লাখ ডলারে! ২০১৩ সালে স্তাদি দা ফ্রাঞ্চে ডায়মন্ড লীগে ৮০ হাজার দর্শকের সামনে দৌড়ে ৩ লাখ ডলার আয় করেছেন বোল্ট ! ২০১৫ সালে প্রাইজমানিও এন্ডোর্সমেন্ট থেকে কতো আয় করেছেন বোল্ট, জানেন? ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার! অ্যাথলেটিক্সকে এতোটা আগ্রহের কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া বোল্টকে হারাতে চাইবেন কেন দর্শক, সমর্থক ও স্পন্সর?
রিও অলিম্পিকে অমরত্ব পেয়ে যদি এখানেই অলিম্পিক ক্যারিয়ার শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় শেষ, তাহলে দর্শকের জন্য মন কাঁদবে তারÑ‘আমি দর্শক মিস করব, মিস করব সাক্ষাতকার। কারন আমি অন্ততঃ ৫০০ বার এমনটাই করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।