বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেলিম আহমেদ, সাভার : দেহে ১৮শ’ স্পিøন্টার নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন সাভারের মাহবুবা পারভীন। কিন্তু বেঁচে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তার খোঁজ খবর নেননি। তাই অভিমান করে তিনি বলেন, ভালো নয়, শুধু বেঁচে আছি।
ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর তার শরীরে এসব স্পিøন্টার পাওয়া যায়। ওই দিন গ্রেনেড হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সাভারের মাহবুবা পারভীন।
মাহবুবা পারভীন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সমাবেশে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাহবুবা পারভীন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই বিকট শব্দে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে পিজি হাসপাতাল এবং এর ৫-৬ দিন পর বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে। সেখানে ২৫ দিন চিকিৎসা দেয়ার পর চিকিৎসকরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকককে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার ভাই তরুন তসলিম উদ্দিন ওসমানীকে পরামর্শ দেন। কারণ তার শরীরে রয়েছে ১৮শ’ স্পিøন্টার, যা ভয়ানক যন্ত্রণাদায়ক।
সাভার পৌর এলাকার শিমুলতলা মহল্লার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সপরিবারে বসবাস করেন মাহবুবা পারভীন। এ প্রতিবেদককে জানান, শরীরে থাকা স্পিøন্টারের ব্যথার যন্ত্রণা অসহ্য। একবার একটি স্পিøন্টার নিজেই ব্লেড দিয়ে কাটতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ফলে ওই স্থানে পচন ধরেছিল এবং বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছিল তাকে। তিনি আরও বলেন, আমার অবস্থা একজন ক্যান্সার রোগীর চেয়েও মারাত্মক। মস্তিষ্কে ২টি স্পিøন্টার থাকায় মাথায় সামান্য চোট লাগলেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি।
মাহবুবা পারভীনের ২ ছেলে আসিফ পারভেজ ও রুশাদ জোবায়ের। স্বামী বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট এমএ মাসুদ। গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার পর কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেছিলেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার অবস্থা দলীয় সব নেতাকর্মীই জানেন। কিন্তু স্থানীয় কোনো নেতাকর্মী আর্থিক সহযোগিতা দূরের কথা, কেউ খোঁজখবর নেন না এবং কথাও বলেন না। শুধু প্রধানমন্ত্রী নিজে তার খোঁজখবর নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।