গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যক্তি ও পরিবারের বিরুদ্ধে নয় বরং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
গতকাল শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমীর ৬নং গ্যালারীতে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলের, এ হত্যাকা-গুলো কিন্তু কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা পরিবারের বিরুদ্ধে নয়। এ সবগুলো হত্যাকা- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্যই এ হত্যাকা-।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি নাশকতার মাস্টার মাইন্ড হলো তারেক-খালেদা জিয়া। যেমন ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যাকা-ের মাস্টার মাউন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তেমনি হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা, শোলাকিয়া হামলাসহ সকল জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনাকারী হলো তারেক-খালেদা জিয়া। জিয়া যেমন বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান এবং ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে ৭৫-এর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিলেন। তেমনি খালেদা-তারেক বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে জঙ্গিদের দিয়ে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তিনি বলেন, জিয়ার নেতৃত্বে জঙ্গিরা জামায়াত-শিবির প্রতিষ্ঠাতা করে। মার্কিন এফবিআই ১৯৯১ সালে শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। এসময় তারেক ‘শিবির’কে তাদের সহোদর হিসেবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে। এই খুনি ও জঙ্গিরাই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালায়। এই বর্বোরচিত হামলায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৩ তাজা প্রাণ ঝরে যায়। বিএনপি এই ঘটনা ধামা-চাপা দিতে জজ মিয়ার নাটক সাজায়। পরবর্তীতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারেক ছিলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড। এরপর সারাদেশে জঙ্গিবাদের লালন করে বিএনপি-জামায়াত। জেএমবি, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম কিংবা হিজবুত তাহরীর এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের উইং। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এরা রাষ্ট্রীয় মদদে বেড়ে উঠেছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, ২০১৩-১৪ সালে এদেরই ব্যবহার করা হয়েছিল জ্বালাও পোড়াও এর কাজে। আজ এরা গুপ্ত হত্যা আর নাশকতার চেষ্টা করছে। এদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট করা। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা।
বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করা। আমরা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ রাষ্ট্র চিন্তা দর্শনকে ধারণ করে এই জঙ্গিবাদের মাস্টার মাইন্ডদের মূল উৎপাটন এই বাংলা থেকে করবোই করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।