বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় শীতের আগাম সবজি সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া। প্রতি কেজি সবজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এ কারণে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতারা। সবজি সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর জন্য দিতে হচ্ছে চড়া দাম। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে বাজারে গিয়ে পণ্যের দামে এক প্রকার নাকানি চোবানি খাচ্ছেন সবশ্রেণি পেশার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার, লিচুবাগান, জিয়া মার্কেট, মরয়িমনগর, চৌমুহনী, রোয়াজারহাট, ইছাখালি গোডাউন, গোচরা, শান্তিরহাট, মাল্যেরহাট, বেতাগী, সরফভাটা ক্ষেত্রবাজার, শীলক রাস্তারমাথা, ফুলতলি, কোদালা বাজার, রাইখালি সন্দীপপাড়া, পদুয়া রাজারহাট, দশমাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজার, সোমবাজ্জ্যহাট, নারিশ্চাবাজার, শান্তি নিকিতেন, মোগলেরহাট, ধামাইরহাট, রাজারহাট, পারুয়া হাজানীহাট, রানীরহাট, ইসলামপুরের গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সবজি বাজার বসে। এসব বাজারের মধ্যে প্রায় সংখ্যক বাজারেই সবজির দাম নেয়া হচ্ছে আকাশ ছোয়া বলে একাধিক ক্রেতা জানিয়েছেন।
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাজারে আসা সবজি ক্রেতা আব্দুর জব্বার বলেন, শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি দামও অনেক বেশি। ছোট একটি ফুুলকপি ও বাঁধাকপির কিনলে ৩০-৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় পাহাড়ি মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, শাকের দাম পূর্বের চেয়ে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। মুলা ও কলমিশাক ১৫-২৫ টাকা, পুইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি কেজি ১০০-১২০ টাকা, শিম কেজি ১০০-১৩০ টাকা, বরবটি কেজি ৬০-৮০ টাকা, আলু কেজি ৪৫-৪৮ টাকা, বেগুন কেজি ৬০-৭৫ টাকা, জিঙ্গা ৬৫-৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি কপি ৬৫-৭০ টাকা, গাজর কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানায়, প্রতি বছর এই সময়ে শাক-সবজি দাম বাড়তি থাকে। সবজির দাম কমতে আরও সময় লাগবে। শীতের সবজি বাজারে ভরপুর আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম। এখন বাজারে যে হারে আগাম সবজি আসছে। এর চেয়ে চাহিদা অনেক চেয়ে বেশি। এ কারণে সবজির দাম চড়া। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কাজ করছে। বাজার মনিটরিং ও পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ী সমিতি ও সংশ্লিষ্ট র্কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ক্রেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।