পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের যে পরিণতি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদেরও একই পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অসংখ্য ভাস্কর্য আছে। কোনোটা নিয়ে কোনো কথা নেই। হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য কেন? আসলে মতলব কী? বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। ধৃষ্টতা দেখাবেন না। নাহলে কঠিন পরিণতি বরণ করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহŸানে সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের সময় থাকতে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই মৌলবাদিরা তারাই যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। এরাই যারা ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। সে সময় আপনাদের (ভাস্কর্য বিরোধিতাকারী) যা পরিণতি হয়েছিল, এখনো সেই একই পরিণতি হবে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হোন। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লাখো সৈনিক আছি।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জামায়াত ও হেফাজতের মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের মামুনুল-বাবুনগরীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ৬০টি সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি সম্বলিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুসহ প্রমুখ মানববন্ধনে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।