মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবেশেষে দীর্ঘ সময় পর ভারতের কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি তৎপরতা দেখালো। যাতে ভারত চরমভাবে ক্ষুব্ধ আর পাকিস্তান ভেজায় খুশি হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নিজেরে ৫৭টি মুসলিম দেশের জোট ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুদিনের এক বৈঠকে শনিবার সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে যাতে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে বেশ শক্ত ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে।
এমনকি গত বছর পাঁচই অগাস্টের ঐ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্যও ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সাথে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওআইসির প্রস্তাবে।
কাশ্মীরে “ভুয়া এনকাউন্টারে“ করে আইন বহির্ভূত হত্যা, “তল্লাশি ও ঘেরাও“ অভিযান এবং শাস্তির কৌশল হিসাবে কাশ্মীরিদের বাড়ি-ঘর এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া, সাধারণ মানুষের ওপর ‘পেলেট‘ বুলেট ছোড়া এবং “ভারতীয় সৈন্যদের হাতের কাশ্মীরি নারীদের হেনস্থার“ নিন্দা করা হয়েছে।
ভারত যেভাবে কাশ্মীরে “আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে, আন্তর্জাতিক প্রস্তাব অগ্রাহ্য করছে“ তার বিবেচনায় ভারতের সাথে সম্পর্ক “পুনর্বিবেচনা“ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওআইসির প্রস্তাবে।
ওআইসি আবারো বলেছে কাশ্মীর একটি অমীমাংসিত ইস্যু এবং “নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে কাশ্মীরিদের অধিকারের বিষয়টি জাতিসংঘের এজেন্ডাতে থাকলেও গত ৭০ বছর ধরে অমীমাংসিত রয়ে গেছে।“
পাকিস্তান গত দেড় বছর ধরে ওআইসিকে কাশ্মীর নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করছিল, ফলে শনিবারের এই প্রস্তাবে তার খুশি।
ভারতের ক্ষোভ
কিন্তু ভারত সরকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ওআইসির প্রস্তাব নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি জারী করা হয়েছে তার ভাষা খুবই শক্ত।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা সব সময় বলেছি ভারতের যে কোনো অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে কথা বলার কোনো এখতিয়ার ওআইসির নেই।“
ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ওআইসির প্রস্তাবে ভারতকে নিয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে তা “তথ্যগত-ভাবে ভুল এবং অনভিপ্রেত“ ফলে ঐ সব বক্তব্য ভারত “পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে।“ বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।