মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের ব্রহ্মপুত্র নদ, অর্থাৎ ‘ইয়ারলুং জ্যাংবো’ নদীতে বিশাল পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প শুরু করতে চলেছে সে দেশ। বেজিংয়ের ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণে, এই সিদ্ধান্তে চিন্তা বাড়তে পারে ভারতের। কারণ, ব্রহ্মপুত্র’র সমতল যাত্রাপথের অনেকটা ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। ফলে নদীর উচ্চগতিতে পরিবর্তন এলে বা কোনো বাধা তৈরি হলে নিম্নগতির পরিবর্তন হতেই পারে। তাতে ব্রহ্মপুত্র-নির্ভর মানুষেরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের শক্তি উৎপাদন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান চীনা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নদের নিম্ন গতিপথের শুরুতেই একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে। যেটি দেশের একাধিক অংশের ম‚ল পানি সরবাহের উৎস হয়ে দাঁড়াবে। তেমনই বিদ্যুৎ সরবরাহ ও নিরাপত্তাতেও সাহায্য করবে। চীনের শক্তি উৎপাদনের ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে দাবি তার। এর আগে ভারত বারবার চীনের সরকারকে অনুরোধ করেছে, নদীর উচ্চগতিতে যেন এমন কিছু বানানো না হয়, যাতে নিম্নগতির কোনো ক্ষতি হয়। সেই কারণেই ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাঁধ বানানো নিয়ে চিরকালই কৌতূহল প্রকাশ করছে। এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের উপর প্রকল্প তৈরির কথা হয়েছিল। উল্লেখ্য, একইভাবে ভারতও বাংলাদেশের উজানে বেশ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ করেছে।রাজশাহী সীমান্তের ১৬.৫ কিলোমিটার উজানে গঙ্গা নদীতে এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির অজুহাতে ভারত ১৯৫৬ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে গঙ্গা প্রশ্নে জরুরি আন্তরিক আলোচনা শুরু করে। ১৯৭২ সালে গঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন (ঔজঈ)। ১৯৭৫ সালে ভারত বাংলাদেশকে জানায় যে, ফারাক্কা বাঁধের ফিডার ক্যানাল পরীক্ষা করা তাদের প্রয়োজন। এসময় পরীক্ষামূলক চালুর কথা বলে ভারত এই বাঁধ আর বন্ধ করেনি। গজলডোবা বাঁধ স্থাপিত হয়েছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তিস্তা নদীর উজানে ভারতীয় অংশে। গজলডোবা বাঁধের (ব্যারাজ) মাধ্যমে তিস্তা নদীর নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে চলে গেছে। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার উজানে ভারত সরকার এই বাঁধ নির্মাণ করে। ভারত এ নদীতে ছয়টি বড় বাঁধ দিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, উইকিপিডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।