মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচি বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ, কৌশলগত, সহযোগিতামূলক ও অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণ আরো বাস্তবসম্মত সুফল পেতে পারে। শি সফররত মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহ দেখান। সুচি গত বুধবার থেকে পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখন চীনে রয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট সুচির এই সফরকে স্বাগত জানান এবং চীন-মিয়ানমার সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সুচির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সবসময় ভালো প্রতিবেশী, বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বসুলভ এবং অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যেতে সদা প্রস্তুত।
সুচি বলেন, মিয়ানমার চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি মিয়ানমারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থনের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমারও দু’দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যাপারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সুচি দু’দেশের জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এবং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদারের আহ্বান জানান।
তিনি নির্দিষ্ট করে বলেন, চীন মিয়ানমারের উন্নয়নের বিষয়গুলোকে সমর্থন করবে এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং সামাজিক অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। চীন উভয় দেশেরে জনগণের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি তাদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে কোনো ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রতি মিয়ানমারের সমর্থনের প্রশংসা করে শি বলেন, দু’দেশের উন্নয়নে সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া চীন দু’দেশের মধ্যে যৌথ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জ্বালানি ও অর্থনৈতিক খাতের মতো বড় বড় খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী বলেও শি জানান। চীনের প্রেসিডেন্ট কৃষি, পানিসম্পদ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরো মনোযোগী হতে দু’দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। শি জিনপিং বলেন, মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়ায় চীন সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাবে এবং দু’দেশের সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একসাথে কাজ করে যাবে। সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।