পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক কিডনির বদলে, দুটি কিডনি অপসারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনার দুই বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলালসহ চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল ভুক্তভোগীর সন্তান চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৩। বিষয়টি দৈনিক ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মো. মামুন অর রশিদ।
আসামিরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল, সহকারী অধ্যাপক ফারুখ হোসেন, ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. আল মামুন।
মামলার বাদী জানান, এক কিডনিতে সংক্রমণ নিয়ে ২০১৮ সালের ১ জুলাই মা রওশন আরাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানোর কিছুদিন পর ফের হাসপাতালে ডেকে জানানো হয় মায়ের বাম কিডনি ফেলে দিতে হবে। পরে ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের পর কিডনিটি ফেলে দেয়া হয়। পরে অন্য একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর ডানপাশের কিডনিও ফেলে দেয়া হয়েছে। যদিও সেসময় অভিযুক্ত চিকিৎসক জানান, অন্য কিডনিটি কাজ করছে না। এ ঘটনার দুই বছর পর শুক্রবার অবশেষে হত্যা মামলা হলো।
বাদীর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কিডনি কেটে নিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। এদিকে এই ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতেও দুই বছর সময় লেগেছে ভুক্তভোগীদের। এর আগে দুই বছর ঘুরেও মামলা করতে পারেননি তারা।
মামলার বাদি ও নিহতের ছেলে রফিক শিকদার বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তিনি কিডনী সরিয়ে ফেলেছেন। যেহেতু তিনি কিডনী প্রতিস্থাপনকারী ডাক্তার। জোরালো তদন্ত হলেই এই সত্যটা বেরিয়ে আসবে।
শহবাগ থানার ওসি মো. মামুন অর রশিদ বলেন, হত্যা মামলা হয়েছে। পোস্টমর্টাম এবং বাদীর অভিযোগ সবকিছু পর্যালোচনা করেই এই মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।