নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপলক্ষ পেয়ে গেছে ব্রাজিল। রিও অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে যে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে জার্মানিকে। সেই জার্মানি, ঘরের মাঠে গত বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যাদের কাছ থেকে ৭-১ গোলের লজ্জা পেয়েছিল সেলেসাওরা, আজ মারাকানার ফাইনালকে ঘিরে তাই একটি কথাই উচ্চারণ হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান সমর্তকদের মুখেÑ ‘প্রতিশোধ’।
সেমিফাইনালে হন্ডুরাস ম্যাচের তখন প্রথমার্ধও শেষ হয়নি। ম্যাচের ফল যখন ৩-০, তখনই ব্রাজিল সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকল, ‘জার্মানি, অপেক্ষা করো, তোমাদের সময় আসছে।’ এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিল সমর্থকদের ইচ্ছা পূরণ করে জার্মানি।
সমর্থকরা প্রতিশোধের তীব্র নেশায় বিভোর থাকাটাই তো স্বাভাবিক। নেইমাররাও কি নয়? দলের খেলোয়াড়রা অবশ্য একটু সমান পথেই হাঁটতে চাইছেন। দলের সবাই-ই নাকি ম্যাচটিকে প্রতিশোধের উপলক্ষ হিসেবে নিতে নারাজ। তবে দলের ফুল-ব্যাক দগলাস সান্তোস ঠিকই স্বীকার করলেন ফাইনালে মারাকানার আবহ থাকবে একটু অন্যরকম। দগলাস তাই এটাকে দেখছেন প্রতিশোধ নয়, সুযোগ হিসেবে, ‘আমি এটাকে প্রতিশোধ হিসেবে দেখি না, আমার কাছে এটা একটা সুযোগ। সমর্থকরা যে কঠিন হারের কথা বলে, সেটাকে উল্টে দেওয়ার এটা একটা সুযোগ হবে। ঈশ্বর চাইলে, আমরা এই স্কোর লাইনটা উল্টে দিতে পারি।’
নেইমার-জেসুসরা আসলেই সেটা পারবেন কিনা তা ম্যাচ শেষেই জানা যাবে। তবে এবারের আসরের পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা। সেমিফাইনালে উগান্ডার জালে ব্রাজিল ৬ বার বল পাঠালেও টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসব করেছে জার্মানিই। ৫ ম্যাচে যেখানে প্রতিপক্ষের জালে ব্রাজিল করেছে ১২ গোল সেখানের জার্মানির গোল সংখ্যা ২১টি। জার্মান কোচ হোস্ট হুবেশ ঠিক এই কথা স্বরণ করিয়েই প্রতিপক্ষকে একটা হুমকিও দিয়ে রাখলেন। নেইমারকে কিভাবে সামলাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জার্মান কোচ বলেন, ‘আমরা ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলব, নেইমারের বিপক্ষে নয়। আমাদের ফরোয়ার্ডরা ২১টি গোল করেছে; তাই প্রশ্নটা হচ্ছে, ব্রাজিল আমাদের কিভাবে থামাবে।’
ব্রাজিলের চাইতে শিরোপা ক্ষুধা জার্মানির কোনো অংশে কম নয়। নেইমারদের মত তারাও জেতেনি অলিম্পিক স্বর্ণ। ১৯৭৬ সালে পূর্ব জার্মানি অবশ্য স্বর্ণ জিতেছিল। কিন্তু সেই জার্মানি আর এই জার্মানি তো এক না। জার্মান দলে অবশ্য ব্রাজিলিয়ানদের মত এত তারকা খেলোয়াড় নেই। বিশ্বকাপ খেলা বার্সেলোনা তারকা নেইমারের সাথে ব্রাজিল দলে আছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ‘গাবিগোল’ খ্যাত সান্তোস স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল বারবোসা ও পিএসজি ডিফেন্ডার মারকুইনোসের মত খেলোয়াড়। আর ফুল ব্যাকে দগলাস কস্তার মত ডিয়েন্ডার তো আছেই। অন্যদিকে বুন্দেসলিগার শীর্ষ ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোন খেলোয়াড় নেই জার্মান দলে। পরের শীর্ষ ৩ দলের মধ্যে এই দলে আছেন কেবল ৪ জন খেলোয়াড়।
গেল লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে ফেভারিট হয়েও মেক্সিকোর কাছে স্বপ্ন চুর হয়েছিল ব্রাজিলিয়ানদের। এবার নেইমাররা কি পারবেন জার্মানিদের দেওয়া সেদিনের সেই শোককে আজ শক্তিতে পরিণত করে প্রতিশোধ নিতে? নাকি সেদিনের সেই হতাশার কালো ছায়া আর সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপে আবারো বিলীন হবে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অলিম্পিক স্বপ্ন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।