পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোল্ডেন মনির এবং তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার আকতার হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত নোটিশে তাদের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়। নির্ধারিত ফরমে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে এই সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব ভট্টাচার্য জানান, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনিরের অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে হয়তো আরও সম্পদ বেরিয়ে আসবে। এ লক্ষ্যে তার সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত নোটিশে তাদের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী নোটিশপ্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের প্রযোজ্য ধারায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকের দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংস্থার প্রাথমিক অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনিরের ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। তবে প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা গেছে। এক সময় কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে এখন মনিরের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় রাজউক থেকে প্রাপ্ত ২৬টি প্লট ও অস্থাবর সম্পদসহ ৬১০ কোটি টাকা সম্পদ দৃশ্যমান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার রয়েছে বিপুল বিনিয়োগ। গোল্ডেন মনিরের নামে প্রাপ্ত সম্পদের হলোÑ রাজধানীর বাড্ডা রাজউক পুনর্বাসন প্রকল্পের ২.৫০ কাঠা জমিতে ৬তলা ভবন, উত্তরা কমার্শিয়াল এলাকার জনপথে (প্লট নং-২৩ ও ২৪) ৫ কাঠা, উত্তরার জমজম টাওয়ারে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ, বারিধারা বøক-জে-এ প্রগতি সরণিতে ৪ কাঠার প্লট, বাড্ডার বারিধারা জে বøক এ ২ নং প্লটে সাড়ে ৪ কাঠার জমি, একই বøকের ১৩ নং রোডের ৪ কাঠা জমি, ১ নং রোডের ৪ কাঠার প্লট, বাড্ডা রাজউক এলাকায় ১১ নং রোডে আড়াই কাঠার প্লট, একই এলাকার ১০ নম্বর রোডের ১০ নম্বর প্লট (আড়াই কাঠা), একই এলাকায় ৪২ নম্বর প্লটে আড়াই কাঠা জমি, বøক নম্বর-৩২, জমির পরিমাণ আড়াই কাঠা। বাড্ডা রাজউক এলাকার ১১ নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর প্লটে আড়াই কাঠা জমি। একই এলাকায় ৩৭ নম্বর প্লট ও ৪১ নম্বর প্লটে ৫ কাঠা জমি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমি, বাড্ডা মৌজায় আড়াই কাঠা প্লট এবং পাশেই পৌনে ৩ কাঠার প্লট, একই এলাকার ১০ নম্বর রোডে আড়াই কাঠার প্লট, আরও পৌনে তিন কাঠার প্লট, কেরানীগঞ্জে পৌনে ৪ কাঠা প্লট, বাড্ডা মৌজা আরও আড়াই কাঠা প্লট, উত্তরায় হরিরামপুরে ৩৬ শতাংশ জমি, একই এলাকায় ৫ কাঠার প্লট, উত্তরা এলাকায় নলভোগ মৌজায় চার কাঠার প্লট, পূর্বাচল প্রকল্পে ৫ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠার প্লট, বাড্ডায় রাজউক এলাকায় ১০ নম্বর সড়কে আড়াই কাঠা প্লট, কেরানীগঞ্জে মগর চোর মৌজায় সাড়ে ৭ শতাংশ জমিসহ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে আত্মীয়-স্বজনের নামে শত শত কোটি টাকার জমি কিনেছেন-মর্মে তথ্য মিলেছে। ‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিত মনির হোসেন গণপূর্ত এবং রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি কোটি কোটি টাকার প্লট নিজের করে নিয়ে নেন। বিনিময়ে সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানা গেছে।
শুধু নিজের নামে নয় মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তারের নামেও সম্পদের পাহাড় গড়েছেণ। ৫শ’ থেকে ৬শ’ ভরি স্বর্ণসহ বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট সবকিছুই দিয়েছেন স্ত্রী এবং স্বজনদের নামে। এর মধ্যে স্ত্রী রওশন আক্তারের নামের বাড্ডায় রয়েছে পৌনে ৩ কাঠার একটি প্লট, একই মৌজায় ১১ নম্বর রোডে আড়াই কাঠা প্লট, বারিধারা ভাটারা থানা এলাকায় আড়াই কাঠা আরেকটি প্লট, গুলশান ১ এলাকায় ৬ নম্বর রোডে তিন নম্বর বাড়িতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। এটির মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এছাড়া মনিরের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ‘মনির বিল্ডার্স’র ৬শ’ শেয়ার, মেসার্স গালস অটো কারস লিমিটেডের ১৬৫০টি শেয়ার, একটি সেডান কার, মিৎসুবিশি মডেলে একটি জীপ, একটি পিস্তল, বারোটি শটগানসহ অঢেল সম্পদ।
গত ২০ নভেম্বর রাতে মেরুল বাড্ডায় মনিরের ৬ তলা বাড়িতে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মনির ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’-কে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্ত করছি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।