পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশেন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, কুমিল্লা সিটির যানজট ও জলাবদ্ধতা পরিপূর্ণ নিরসনে যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা স্থায়ীভাবে বাস্তবায়ন করতে আরও তিন বছর সময় দরকার। সিটির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ, বাকি ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করার জন্য আরেকবার সুযোগ চাই।
রবিবার (১২ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের নানুয়ারদিঘির পাড়ের নিজ বাসভবনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি দুই টার্মের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে কুমিল্লার আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শহরের ৪১টি ভবন মালিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচিত হলে সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। গত বছর নানুয়ারদিঘির পাড়ে মন্দির কাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুঃখ প্রকাশ করে সাক্কু বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি পূজার সময় মন্দিরে একজন আনসার হলেও রাখা হয়, কিন্তু দুঃখজনক অপ্রীতিকর ঘটনার সময় ওই মন্দিরে একজন পুলিশ সদস্য তো দূরে থাক, একজন আনসারও রাখা হয়নি। আমি এটাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। আমার মেয়রগিরি প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তার নির্বাচনী ইশতেহারে সড়ক বাতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় ক্ষেত্র, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার-শপিংমল আধুনিকায়ন, ক্রীড়া ও খেলার মাঠ, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা বিধান, মাদক-সন্ত্রাস ও ইভটিজিংমুক্ত সমাজ গঠন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান, পাঠাগার স্থাপন, গণশুনানিতে গৃহকর নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো. কাইমুল হক, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তারেক আবদুল্লাহ ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল হক ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদপ্রার্থী আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী। এ ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।