Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন সাবমেরিন তাইওয়ানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মঙ্গলবার দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। মূলত দেশীয়ভাবে বিকশিত উন্নত সাবমেরিনের একটি বহর তৈরির মাধ্যমে কাজটি করতে চান তিনি। এটি মূলত প্রতিবেশী দেশ চীনকে মোকাবেলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তাইওয়ান, যাকে চীন তাদের নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে, সেই অঞ্চলটি বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেদের সাবমেরিন শক্তিকে সংস্কার করার কাজ চালিয়ে আসছে। যার অনেকগুলোই মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এবং চীনের বহরের সঙ্গে যার কোনো সাদৃশ্যও নেই। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম ভেসেলও রয়েছে। ওসিংয়ের দক্ষিণ বন্দর শহরের নতুন সাবমেরিন বহরের নির্মাণকাজ শুরুর প্রাক্কালে সাই এ কথাগুলো বলেন। নিজেদের নেয়া এ উদ্যোগকে নানা চ্যালেঞ্জ ও দ্বিধা পেরিয়ে প্রতিরক্ষা সক্ষমতার দিক থেকে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলস্টোন’ বলে ঘোষণা করেছেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাই বলেন, তাইওয়ানের এ উদ্যোগ বিশ্বকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের দৃঢ় ইচ্ছাকে তুলে ধরেছে। এ অনুষ্ঠানে তাইওয়ানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদ‚ত ব্রেন্ট ক্রিস্টিনসেনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ সময় আরো বলেন, তাইওয়ানের নৌবাহিনীর অসামান্য যুদ্ধ ক্ষমতার বিকাশের জন্য সাবমেরিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। পাশাপাশি এগুলো শত্রু জাহাজকে তাইওয়ান ঘেরাও করা থেকে আটকে দেয়ার কাজ করবে। ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার এ প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতকারকদের সহযোগিতার অনুমতি দেয়। বিস্তৃতভাবে এটিকে মূলত তাইওয়ানের প্রধান উপকরণগুলো রক্ষার উদ্যোগে সাহায্য হিসেবে দেখায়, যদিও এটা এখনো স্পষ্ট না যে কোন মার্কিন কোম্পানি এখানে যুক্ত। রাষ্ট্র সমর্থিত সিএসবিসি করপোরেশন বলেছে, তারা ২০২৫ সালে পরিকল্পিত আটটি সাবমেরিনের প্রথমটি সরবরাহ করবে, যা সাইয়ের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং স্বনির্ভর হওয়ার পরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে প্রণোদনা দেবে। কোম্পানির চেয়ারম্যান চেং ওয়েন-লাং বলেন, তারা বড় ধরনের কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে যন্ত্রাংশ সংগ্রহের পাশাপাশি এ প্রোগ্রামের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে বাহ্যিক শক্তিগুলোর সক্রিয়তাও রয়েছে। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী মূলত যুক্তরাষ্ট্র দ্বারাই সজ্জিত। কিন্তু সাই এখন এসে অগ্রসরমাণ দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। জুনে সাই স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করা একটি নতুন পাবলিক টেস্ট ফ্লাইটের তত্ত্বাবধান করেছেন। এদিকে চীন তাইওয়ানের কাছাকাছি স্থানগুলোতে নিজেদের সামরিক তৎপরতা বাড়ানোসহ নানা ধরনের শক্তি প্রদর্শন করেছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক উত্তাপকে আরো বেশি উসকে দিয়েছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাইওয়ান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ