মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক সংলাপ উদ্যোগের আওতায় প্রথম বারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার শুরু হওয়া বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তবে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে বিবেচনা করা চীন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বেইজিংয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘তাইওয়ান প্রশ্নের তীব্র স্পর্শকাতরতা ওয়াশিংটন অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারবে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলতে থাকা অস্থির পরিস্থিতি এবং চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার দুই পক্ষের কর্মকর্তাদের বৈঠক শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দেশটির সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক জোরালো হয়েছে। ট্রাম্পের চীনবিরোধী অবস্থান এতে ভূমিকা রেখেছে বলে অনেকেই মনে করেন। দুই পক্ষের বৈঠকের পর এর বিষয়বস্তু নিয়ে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। বৈঠকে তাইওয়ানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার চেন চের্ন-চায়ি। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডারসেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ। তাইওয়ানের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এর বদলে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং টেলিযোগাযোগ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তায় অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, সমঝোতা স্মারক কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি নয়। এই স্বারক মেনে চলতে কোনও পক্ষ আইনগত ভাবে বাধ্য নয়। তবে পক্ষগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো ক‚টনৈতিক রীতি। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘোষণা দিলেও তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর বিষয়বস্তু নিয়ে খুব বেশি বিস্তারিত তথ্য জানাননি। এর বদলে তারা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নিতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম একটি উদ্যোগ হলো উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক সংলাপ। এর অধীনে উচ্চ-পর্যায়ের সরকারি সফর ছাড়াও তাইওয়ানের কাছে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এর সবকিছুতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে বেইজিং। তাইওয়ান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক শুরুর পর শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এর পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে দেন। অবিলম্বে এই আলোচনা থামানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে যেকোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক আদানপ্রদানের তীব্র বিরোধী চীন। এই অবস্থান স্পষ্ট এবং অবিচল। মাঠ পর্যায়ে পরিস্থিতির অগ্রগতির আলোকে আইনসঙ্গত এবং প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখাবে চীন।’ গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।