পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘ-বৃষ্টির সঙ্গে প্রচুর জলীয়বাষ্প আর কুয়াশার ঘোরে ঢাকা পড়লো দেশ। রাজধানী ঢাকা, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলায় দিনের বেলার পুরোটাই বিদঘুটে আঁধারময় গুমোট আবহাওয়া। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এভাবে গতকাল শনিবারসহ পরপর দুই দিন ওলোটপালট হয়ে যায় অগ্রহায়ণ তথা হেমন্তের স্বাভাবিক সতেজ আবহাওয়া। যেসব জেলায় দু’দিনে অকাল বৃষ্টি ঝরেনি সেখানেও মেঘ-কুয়াশা-জলীয়বাষ্পের সাথে ধুলোবালি-ধোঁয়ার দূষণ মিলিয়ে আকাশ প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বৈরী আবহাওয়ায় সর্দি-কাশি, ভাইরাস জ¦র, হাঁপানি-শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন রোগব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তাছাড়া করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকির ভয়-শঙ্কা আরও বেড়েই গেছে। অগ্রহায়ণের গোড়াতেই অন্ধকারে সূর্য ঢাকা পড়েছে। এহেন গুমোট ও বিরূপ আবহাওয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, হঠাৎ এটি আবহাওয়ার অস্বাভাবিক অবস্থা। এর আবহাওয়াগত কারণ বা ফ্যাক্টর তিনটি। এক. আরব সাগরে সৃষ্টি হয়ে ইয়েমেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে একটি গভীর নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে একরাশ মেঘমালা বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশের দিকে ছুটে এসেছে। দুই. সেই মেঘমালার সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী প্রচুর জলীয়বাষ্প বাংলাদেশের স্থলভাগের দিকে আসছে।
এরফলে এই অগ্রহায়ণেও বাংলাদেশের বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশিহারে বিরাজ করছে। গতকাল সকালে ঢাকায় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ছিল ৯৫ শতাংশ এবং সন্ধ্যায় ৮৯ শতাংশ। তিন. পঞ্চগড়সহ উত্তর জনপদ হয়ে হিমালয়ের হিমেল উত্তুরের বাতাস গেল কার্তিক মাসের শেষের দিক থেকেই আসছে বাংলাদেশে। যার ফলে এখন বঙ্গোপসাগর থেকে আসা (দক্ষিণের) মেঘ ও জলীয়বাষ্পের সঙ্গে বিপরীতমুখী টক্কর লেগে আবহাওয়াকে ওলোটপালট করে দিয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আজ রোববার দেশের অনেক জেলায় মেঘ-বৃষ্টি-জলীয়বাষ্প-কুয়াশায় এই বিরূপ আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্য ও রোদের দেখা মিলতে পারে অনেক স্থানে। বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা। তবে থেমে থেমে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে অনেক জায়গায়। অগ্রহায়ণের ‘শীত নামানো’ এই বৃষ্টিপাতের পর কুয়াশা বাড়বে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের কামড় ক্রমেই বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় নোয়াখালীতে ১৩ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় এক মি.মি., মাদারীপুরে ৪, খুলনায় ৫, মংলায় ৭, সাতক্ষীরায় ৫, বরিশালে এক, ভোলায় ২ মি.মি. বর্ষণ হয়েছে। এরআগে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বর্ষণ হয় ফরিদপুরে ২৯ মি.মি.।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ৩১.৯ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৭.২ এবং সর্বনিম্ন ২১.৫ ডিগ্রি সে.।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এ সপ্তাহের আবহাওয়া পূর্বাভাসেও বলা হয়, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকারই সম্ভাবনা। দিন ও রাতের বেলায় তাপমাত্রার পারদ হ্রাসের দিকে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।