পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতের কমিটিতে জামায়াতের কোন স্থান নেই বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দেয়া মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস সাহেবের সাক্ষাৎকারকে ভিত্তিহীন ও ভুয়া আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
বিবৃতিতে মাওলানা জাকারিয়া নোমান বলেন, জামাতের সাবেক সভাপতি হেফাজতের কমিটিতে পদ পেয়েছেন মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবাস্তব। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতেই এমন ডাহা মিথ্যা প্রতিবেদন করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মাওলানা জাকারিয়া নোমান আরো বলেন, আজীবন যিনি চারদলীয় জোটের সাথে রাজনীতি করে চুলদাঁড়ি পাকিয়েছেন, তিনি হেফাজতের কমিটিতে জামায়াত খোঁজা বড়ই হাস্যকর বিষয়। বয়োবৃদ্ধ বয়সে তার মুখ থেকে এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য আমরা আশা করিনি। তার এমন বক্তব্যে জাতি মর্মাহত হয়েছে। সকলের নিকট প্রশ্ন রেখে জাকারিয়া নোমান ফয়জী বলেন, যাদেরকে জামাত ইত্যাদির তকমা লাগিয়ে হেফাজতের কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তারা তো শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর জীবদ্দশায় হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন কেন তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের অভিযোগ করা হয়নি ? এক সময় জামায়াত করলে যে সেই অন্য দল করতে পারবে না এটা কি হতে পারে? একসময় জামাতের অর্থ যোগানদাতা এখন আওয়ামী লীগের এমপি। তিনি আরো বলেন মুফতি হারুন ইজহারসহ কয়েকজন বিরুদ্ধে বাম পাড়ার মানুষের মত জিহাদী টেক লাগানো কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতেই হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। হেফাজতের নতুন কমিটি দেশবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সকলের আশার প্রতিফলন ঘটেছে। বাম মিডিয়ার সহযোগিতায় গুটিকয়েক কুচক্রি হেফাজতের সর্বজন গ্রহণযোগ্য কমিটি নিয়ে অবান্তর ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন উত্থাপন করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। হেফাজতের নেতৃবৃন্দসহ দেশেবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।