Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘পাঁচ তারকা কয়েদখানা’য় কোহলিরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মুখে মাস্ক। জৈব সুরক্ষিত ব্যবস্থা না পেলে ঘরে থাকতে হবে যতটুকু সম্ভব। করোনাকালে এটাই জীবন। স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থা কবে ফিরবে কে জানে! আপাতত এমন প্রায় বন্দিজীবনে মানিয়ে নিতে হচ্ছে সবাইকে। ক্রিকেটারেরাও বাদ নেই। জৈব সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করে হয়তো খেলা হচ্ছে অনেক দেশে। সেটি ম্যাচ ও অনুশীলনের সময়। তার বাইরে? জিজ্ঞেস করুন ভারতের ক্রিকেটারদের। তারা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বন্দী পাঁচ তারকা কয়েদখানায়।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘মুম্বাই মিরর’ জানিয়েছে এমন খবর। আরব আমিরাতে আইপিএল খেলতে প্রায় তিন মাস জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে ছিলেন ভারতের ক্রিকেটাররা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় জৈব সুরক্ষিত ব্যবস্থার কড়াকড়ি আর আরব আমিরাতের মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। বিরাট কোহলিরা সম্ভবত করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবচেয়ে কড়াকড়ি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ায় তিন সংস্করণের সিরিজ সামনে রেখে আগেই দেশটিতে পা রেখেছে ভারত জাতীয় দল। এখন আইসোলেশনে আছেন ক্রিকেটাররা। আর অস্ট্রেলিয়ায় এই আইসোলেশন ব্যবস্থা নিয়েই ভারতীয় বহরের এক সদস্য তার পরিবারকে জানিয়েছেন, তারা নাকি ‘পাঁচ-তারকা কয়েদখানা’য় জীবন যাপন করছেন।
সপ্তাহখানেক আগে অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছেন কোহলিরা। অস্ট্রেলিয়ায় নামার পর থেকেই ঘরবন্দী তারা, এমন নয়। হোটেল রুম থেকে তারা বের হচ্ছেন ঠিকই, তবে সেটা শুধু মাঠে যাওয়ার জন্য। মাঠ থেকে হোটেল এবং হোটেল থেকে সরাসরি মাঠ- এভাবেই চলছে তাঁদের জীবন। একসঙ্গে বসে আলোচনা করা হচ্ছে না, একসঙ্গে খাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। হোটেলের জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়ানোরও সুযোগ নেই। যাই করুন, রুমে বসেই করতে হচ্ছে। এমন আইসোলেশনে এই প্রথম থাকছেন না খেলোয়াড়েরা। আইপিএল উপলক্ষে যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন, তখনো প্রাথমিকভাবে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। তবে তখন এতটা কড়াকড়ি ছিল না নিয়মে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় অস্ট্রেলিয়া। খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে মাঠে নেওয়ার কাজে চারটি গাড়ির ব্যবস্থা করেছে অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। বিশাল বাসেও মাত্র ১০-১১ জন খেলোয়াড় নেওয়া হচ্ছে সঙ্গনিরোধ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি বসার কোনো সুযোগ নেই সেখানে।
হোটেল থেকে ৩০ মিনিট দূরত্বে ব্ল্যাকটাউন স্পোর্টস পার্কে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে অবশ্য একে অপরের সঙ্গে মিশতে পারছেন কোহলিরা, তবে আগের মতো ভিড় জমানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে বাইরে থেকে খাবার আনানো যাচ্ছে, কিন্তু রুম থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। শরীরকে তাজা রাখতে জিমের কাজগুলো মাঠেই সেরে নিতে হচ্ছে। যত দিন না শহরে ঢোকার সময় হচ্ছে, তত দিন এমন কড়া নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে তাঁদের।
২৭ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম ওয়ানডে খেলবে ভারত। এর মধ্যেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের ছয় ম্যাচেরই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সিডনি ও ম্যানুকা ওভালে এবার ধারণক্ষমতার পঞ্চাশ ভাগ দর্শক ঢোকার সুযোগ পাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোহলিরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ