Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনরোষে জেলা পরিষদ কর্মকর্তার পলায়ন সাতক্ষীরায় ৫টি জীবন্ত গাছকে মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কাটার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা

সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ধারে লাগানো জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫টি মূল্যবান জীবন্ত শিরিস চটকা গাছ মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার সময় জনগণের প্রতরোধের মুখে তা প- হয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটার সাথে জড়িত জেলা পরিষদ সার্ভেয়ারসহ অন্যরা পালিয়ে যান। জেলা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে গতকাল শুক্রবার অফিস ছুটির দিনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সকালে এই গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছিল। জনগণ বাধা দেয়ার আগেই গাছের ডালপালা সব কেটে ফেলা হয়। গাছগুলোর মূল্য আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা। সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের নির্মাণাধীন মার্কেটের মালিক পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান অফিসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম উদ্দীন সরদার, ইব্রাহিম মোড়ল, রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের দু’ধারে বড় বড় মূল্যবান শিরিস চটকা গাছ রয়েছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের গাজী মার্কেটের সামনের সড়কের পূর্ব পাশে দু’টি মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন এই মাকের্টের সামনে সড়কের ধারে ৫টি মূল্যবান শিরিস চটকা গাছ রয়েছে। মার্কেটের মালিকরা তাদের সুবিধার জন্য জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ওই গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেন। তারা এর জন্য জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানকে ম্যানেজ করেন। মার্কেটের মালিক পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ওই গাছগুলো মরা এবং জনসাধারণের জন্য বিপজ্জনক উল্লেখ করে তা কেটে ফেলার জন্য সুপারিশ করেন। একপর্যায়ে তিনি জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে ওই ৫টি গাছ কাটার অনুমোদন করান। সে অনুযায়ী শুক্রবার ছুটির দিনে এই গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছিলো। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে বলেন, গাছগুলো বিপজ্জনক হওয়ায় সেগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। জেলা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষেই সড়কের ধারের এসব গাছ কাটা হচ্ছিল, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বাজারের শোভাবর্ধনের জন্য এসব গাছ না কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ