রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে
আশাশুনি উপজেলার বড়দল সেতু নির্মাণ কাজ পুরো দমে এগিয়ে চললেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম বন্দের দাবিতে স্থানীয় জনতার প্রতিবাদের মুখে ঢালাই কাজ সাময়িক বন্দ হওয়া ও জনরোষে পড়ে এসও লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২.৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা। জানুয়ারি-২০১৫ কাজ শুরু হয় এবং জুলাই-২০১৬ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এবছর কাজ শেষ হওয়ার সম্ভব নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বরাদ্দ আরও ৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কাজ অনুমান ৬৫/৭০% শেষ হয়েছে। সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। নির্মাণ কাজ তদারকি কর্মকর্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও মোঃ জিয়া শুরু থেকে নিয়মিত কাজ দেখাশুনা করেন না। আবার আসলেও অজানা কারণে সঠিক ভাবে দেকভাল করেন নাÑ এমন অভিযোগ শুরু থেকেই উঠতে থাকে। পাকুর পাথর বা ব্লাক স্টোন ব্যবহারে করা হচ্ছে অনিয়ম, পাথর খুবই নিম্নমানের, ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন। লাল মোটা দানা সিলেট বালি এফএম ২.৭৬ এর সাথে কুষ্টিয়ার বালি ১.৭৬ মিশিয়ে কাজ করার নিয়ম থাকলেও এখানে কেবলমাত্র কুষ্টিয়ার ১.৭৬ বালু (ধুলাবালি মিশ্রিত) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ড্রয়িং অনুযায়ী রড ব্যবহার করাও হচ্ছে না। কঠিন ও জটিল এ বিষয়টি স্থানীয় সাধারণ জনতা বুঝতে না পারলেও পাথর ও বালির ব্যবহারে তাদের মনে পীড়া দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তারা উপস্থিত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও দায়সারা গোছে কিংবা চালাকি করে বুঝিয়ে দিয়ে আসছিল। গত ২ জুন ব্রিজের গার্ডার ঢালাই কাজ করা হয়। সকল ৭টায় কাজ শুরু করা হয় কিন্তু না এ সময়ও এসও মোঃ জিয়া কাজের মান ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে কাজ শুরুর অনুমতি দিতে উপস্থিত হননি। তিনি আসেন কাজ শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর। স্থানীয় জনগণ, নিম্নমানের ব্লাক স্টোন ও কেবলমাত্র কুষ্টিয়ার ১.৭৬ বালি (ধুলামাটি মিশ্রিত) ব্যবহার করতে দেখে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেন। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে কাজ বন্দ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তারা বালি পরিবর্তন করলেও পাথর পরিবর্তন না করেই কাজ শেষ করেন। উত্তেজিত জনতা সাইডে চলমান কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে এদিন এসও জিয়াকে লাঞ্চিত করে। এলাকাবাসী জানান, কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে আসছে এসও জিয়া। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের ফায়দা লুটতে কন্ট্রাক্টরদের কাছে সুপারিশ করে নিজের পছন্দমত সাব কন্ট্রাক্টরদের কাজ পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থাও করে থাকেন বলে তারা জানান। ব্রিজের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে অবিলম্বে এসও জিয়াকে সরিয়ে নিতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্রিজ নির্মাণ কাজে দায়িত্বরতদের (ইঞ্জিঃ মিনহাজ উদ্দিন, সাইডের মিস্ত্রী মিলন আলী ও ড্রাইভার) সাথে কথা বললে তারা জানান, তারা সিলেট ও কুষ্টিয়ার বালি দিয়ে কাজ করে এসেছেন, ঢালাইয়ের দিন খারাপ-নিম্নমানের বালির ব্যবহার তাদের অজান্তে হয়েছিল, স্থানীয় জনতা প্রতিবাদ জানালে সেটির ব্যবহার বন্দ করা হয়েছিল। নিম্নমানের ও অপরিচ্ছন্ন স্টোন ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, পাথর অপরিচ্ছন্ন হলেও সেটি ব্যবহারের সময় পানি দেওয়া হয়। পাথর আগেই পরিষ্কার করে রাখার পরে কাজ করা হয় না কেন? এবং প্রতিবাদ না করলে ধুলামাটি মিশ্রিত বালির ব্যবহারে কাজ শেষ করতেন? এমন প্রশ্নের জবাব তারা এড়িয়ে যান। তবে এসওকে লাঞ্চিত করার ঘটনা স্বীকার করলেও ব্রিজের পাইকগাছা পাড়ে হয়েছিল বিধায় সঠিক করে কি হয়েছে বলতে পারেন না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।