নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দলবদল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কারও কারও কাছে মৌসুমে মৌসুমে দলবদল যেমন স্বাভাবিক ঘটনা, আবার অনেক খেলোয়াড়ের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেই বছরের পর বছর কাটিয়ে দেওয়ার উদাহরণও কম নয়। মাহেন্দ্র সিং ধোনি যেমন চেন্নাই সুপার কিংসে খেলছেন ২০০৮ সাল থেকে। বিরাট কোহলি এক যুগ ধরে খেলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে।
সব ক্রিকেটারের তো আর ধোনি-কোহলির মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে রসায়নটা বছরের পর বছর একই মাত্রা বজায় থাকে না। সে কারণেই পরিবর্তন হয়ে যায় দল। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমই যেমন গত ৮ বছরে খেলেছেন দেশের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি দলে। এখানে দল পরিবর্তনে জ্বালাতান ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে যেন মুশফিকের অনেক মিল! ক্লাব বদলাতে সুইডিশ তারকার জুড়ি মেলা ভার। স্বদেশি ক্লাব মালমো এফসি দিয়ে শুরু, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব এলএ গ্যালাক্সিতে খেলে এখন তিনি এসি মিলানে। মাঝে আরও সাত দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এসি মিলানসহ ইউরোপের নামীদামি অনেক ক্লাবেই খেলা হয়ে গেছে তার। ইব্রাহিমোভিচের মতো ক্লাব বদলানোর সুযোগ মুশফিকের কম থাকলেও মুশফিককে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির ‘ইব্রাহিমোভিচ’ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না!
মুশফিক ২০১২ বিপিএলে খেলেছেন দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। ২০১৩ বিপিএলে খেলেছেন সিলেট রয়্যালসের পক্ষে। মাঝে এক মৌসুম বিপিএল হয়নি। ২০১৫ বিপিএলে মুশফিককে নেয় সিলেট সুপার স্টারস। পরের মৌসুমে খেলেন বরিশাল বুলসের হয়ে। ২০১৭ বিপিএলে রাজশাহী কিংস, ২০১৮ বিপিএলে মুশফিক খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসে। গত বিপিএলে তার দল ছিল খুলনা টাইগার্স। আর এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে নিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।
গত আট বছরে আটটি দলে খেললেও মুশফিকের কখনো পাওয়া হয়নি শিরোপার স্বাদ। গতবার খুলনা টাইগার্সের হয়ে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি তার, হেরেছিলেন রাজশাহী রয়্যালসের কাছে। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে টুর্নামেন্টটা তার দুর্দান্তই গেছে, ১৪ ম্যাচে ৭০.১৪ গড়ে করেন ৪৯১ রান। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তার সতীর্থ ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মুশফিকের টুর্নামেন্ট খারাপ গেছে, গত পাঁচ-ছয় বছরে এমন ঘটনা কমই আছে। এই তো সর্বশেষ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দলও উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু কেন যেন শিরোপাটা অধরাই রয়ে গেছে তার!
কথায় বলে, শিরোপা জিততে হলে ‘চ্যাম্পিয়নস লাক’ লাগে। গত আট বছরে মুশফিকের যে সেটা ছিল না, সেটি রেকর্ডই বলে দিচ্ছে। ভাগ্যের সহায়তা অতীতে পাননি বলে এবারও পাবেন না, এমন কোনো কথা নেই। মুশফিক তাই আশাবাদী, এবার নিশ্চয়ই ভিন্ন গল্পই হবে। কাল বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে এক ভিডিও বার্তায় মুশফিক আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন, ‘এই প্রথমবারের মতো বেক্সিমকো ঢাকায় খেলতে যাচ্ছি। আমাদের দলটা তরুণ ও অভিজ্ঞের মিশেলে দারুণ সমন্বয় হয়ে আছে। বেক্সিমকো সব সময়ই শিরোপা জিততে লড়াই করে, এবারও সেটার ব্যতিক্রম হবে না। আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন ফাইনাল খেলতে পারি এবং শিরোপা জিততে পারি। আর আমি আমার সুনাম অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব এবং কাক্সিক্ষত ফল আনার চেষ্টা করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।