গ্রিডে অগ্নিকান্ডে পর থেকে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন সিলেটের বেশিরভাগ এলাকা। একই সাথে নগর জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। বিশেষ করে পানির জন্য চলছে হাহাকার। পানির বোতল ক্রয়ে দীর্ঘ লাইন ভোক্তভোগী মানুষের। অনেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটছেন পানির সন্ধানে ।

তীব্র পানির সংকটেও কিছু মানবিক মানুষ এগিয়ে এসেছেন পরিচিতজনদের পাশে। নগরের মণিপুরি রাজবাড়ি এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু স্থানীয়দের পানি সরবরাহ করছেন নিজ উদ্যাগে। তিনি জানান, ‘সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মানুষকে পানি সরবরাহ করছি, বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত এ পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

নগরীরর সুবিদবাজার পয়েন্টে মিতালী কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় একটি এক পরিবারের মানবিক উদ্যোগ গত রাতেও তারা ১ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর দেড়টাও দেখা গেছে, পানি নিতে সুবিদবাজার পয়েন্টের মিতালি কমপ্লেক্সের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন। দূরদূরান্ত থেকে তারা এখানে ছুটে আসছেন। কারও হাতে কলস, কারও হাতে জগ, বালতি, ড্রাম ইত্যাদি। নগরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতেই এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওলদারপাড়া, শিবগঞ্জ, রায়নগর, কুমারপাড়া, ঝরনারপাড়, শেখঘাট, চালিবন্দর, লামাবাজার, নগরের বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, কালীবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে গোসল ও নিত্যক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না। এসব এলাকায় তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে সুপেয় পানিরও। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বিদ্যুতের অভাবে কোনো পানি সরবরাহ করা যায়নি। আমরা দুঃখ প্রকাশ করে মাইকিং করছি নগরীতে ।’ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন জানান, নগরের কিছু এলাকায় চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ সরবরাহ করার। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সংস্কারে কাজ করছেন প্রায় ৪ শতাধিক কর্মী। দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।