পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বেশকিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় সন্ধ্যার পর থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে আচ্ছন্ন রয়েছে সিলেট মহানগর। এদিকে মহানগরে বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগ নিয়ে মোমবাতির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। জেনারেটরের লাইন থাকা দোকানপাটে মোবাইল চার্জের জন্যও ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নগরবাসিরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ অগ্নিকান্ডের পর থেকে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। তবে সুনামগঞ্জ ও ছাতকে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। সিলেটের জিন্দাবাজার স্টোরের মালিক কিবরিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির চাহিদা বেড়েছে। প্রতি প্যাকেট মোমবাতি ৩০ টাকার স্থলে ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। চাহিদা বেশি থাকায় অনেক দোকানে মোমবাতি শেষ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে অনেকে ৫/৭ প্যাকেট করে মোমবাতি কিনে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সিলেটের ইনচার্জ মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, সন্ধ্যার পর সুনামগঞ্জ ও ছাতকে বিকল্প ব্যবস্থায় ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সিলেট নগর ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেন নি তিনি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, যাতে অন্তত একটি ট্রান্সফরমার ঠিক করা যায়। ঢাকা থেকেও একটি প্রকৌশলী টিম সিলেটে এসেছে।আগুনে ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫/৪১ এমবিএ দু’টি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। ট্রান্সফরমার গুলোর বাহ্যিক অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও ভেতরের অংশ কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।গ্রিড উপকেন্ড অগ্নিকান্ডে পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সিলেট মহানগর, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা, ছাতক ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক বিদ্যুতের গ্রাহককে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন জানান, তাদের প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন। বিপর্যয় কাটিয়ে উপকেন্দ্রের লোকজনও অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।