পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে উজ্জীবিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। শান্তিপূর্ণ সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্মেলন সমাপ্ত হওয়ায় খুশি দেশ-বিদেশে হেফাজতের লাখো সমর্থক-তৌহিদী জনতা। নতুন কমিটি নিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে নীতি-নির্ধারকদের দেয়া এমন নতুন বার্তা নিয়ে প্রতিনিধিরা ফিরে গেছেন দেশের ৬৪ জেলায়।
তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরাও দারুণ উচ্ছ¡সিত। নতুন কমিটিতে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের প্রতিনিধিরা ঠাঁই পেয়েছেন। দেশের প্রখ্যাত আলেম, পীর-মাশায়েখ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন কমিটিতে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হবে অরাজনৈতিক এ সংগঠনকে। নতুন পথচলায় নতুন গতি ফিরবে এমন প্রত্যাশা হেফাজতের নেতাদের।
গত রোববার হেফাজতে ইসলামের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দেশের প্রবীণ আলেমেদ্বীন, শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আগের কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে দেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন ও পীর-মাশায়েখদের রাখা হয়েছে।
ঈমান আকিদা রক্ষায় ঘোষিত ১৩ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলনের সূচনাকারী হেফাজতে ইসলামের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর। প্রতিষ্ঠাতা আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর নতুন আমির নির্বাচন অনিবার্য হয়ে উঠে। তবে হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারকেরা তড়িঘড়ি না করে সাংগঠনিকভাবে প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন।
এ সময়ের মধ্যে সম্মেলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কতিপয় নেতা নানামুখী তৎপরতা চালালেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিলে এর কোন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তথা হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারকেরা তৃণমূলের নেতাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব নির্দেশনা মেনে আগামী দিনগুলোতে হেফাজতে ইসলাম এ দেশের তৌহিদী জনতার আবেগ অনুভ‚তি এবং আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন বলে জানান নেতারা।
সম্মেলনে তৃণমূল থেকে আসা নেতারা জানান, ঈমান আকিদা রক্ষার হেফাজতের যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। কারণ নাস্তিক, মুরতাদদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। ইসলাম এবং রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে বিষোদগার চলছে। এ অবস্থায় তৌহিদী জনতার আস্থার ঠিকানা হেফাজতে ইসলাম নীরব থাকতে পারে না। ইসলাম বিরোধী যে কোন অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াবে। কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি নয়, তৌহিদী জনতার পাশে থাকবে হেফাজত।
এ প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতের নতুন পথচলা শুরু হয়েছে। সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগির জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, সম্মেলনের পর সারা দেশে হেফাজতের নেতাকর্মী এবং সমর্থকেরা দারুণ উচ্ছ¡সিত। তৌহিদী জনতাও হেফাজতের ব্যাপারে আশাবাদী। হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেও নেই বিপক্ষেও নেই। নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী এবং ঈমান আকিদা রক্ষায় হেফাজতের ভ‚মিকা আরও বলিষ্ঠ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।