Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমর্থক ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টায় ট্রাম্প

করোনা মোকাবিলা ব্যাহত হওয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরে চাপ বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে, ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনাগ্রহের কারণে করোনা মোকাবেলাও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি রিপাবলিকান দলের নেতাদের পক্ষ থেকেও হোয়াইট হাউস ছাড়ার জন্য ট্রাম্পের ওপর চাপ বাড়ছে। কিন্তু সমর্থকদের দিয়ে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা প্রকাশ করিয়ে এবং মিথ্যাচার ছড়িয়ে মার্কিন ভোটিং সিস্টেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার ফলে দেশটিতে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনে জো বাইডেন বিজয়ী ঘোষণার পরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ট্রাম্প তার উত্তরসূরির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে রোববার বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন জানান, মহামারীর তীব্রতার প্রেক্ষিতে ‘নির্বিঘেœ ক্ষমতা হস্তান্তর’ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হওয়া জরুরি। তিনি সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাইডেনের কোভিড-১৯ উপদেষ্টা প্যানেল বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের নেতৃত্বে থাকা হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সসহ মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে পারছেন না। বিধি অনুসারে বাইডেনকে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের বিজয়ী ঘোষণা করে একটি চিঠি ইতিমধ্যে জারি করার কথা ছিল জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ)। ওই চিঠির মাধ্যমে বিদায়ী এবং নবাগত প্রশাসনের মধ্যে যোগাযোগের অনুমোদন দেয়া হয়। বিগত ৬০ বছর ধরে নিয়মিতভাবে এই রীতি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু ট্রাম্প এখনও পরাজয় মানতে অস্বীকার করছেন। তিনি টুইটারে বার বার ‘নির্বাচনে কারচুপি’ হয়েছে বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছেন। ওই চিঠিও এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ক্লেইন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা জিএসএ’র পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের অনুমোদন প্রদান করে দেয়া চিঠি না পাওয়া অবধি কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’

ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার করতে রাজি না হলেও বাইডেনকে সহযোগিতা শুরু করার জন্য তার রিপাবলিকান দলের মধ্যেই দাবি উঠতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জন বোল্টন, ওহাইওর রিপাবলিকান গভর্নর মাইক ডিওয়াইন ও শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের সদস্য ডক্টর অ্যান্টনি ফাওসি। চলতি সপ্তাহে বোল্টন এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, ‘আগত প্রশাসনের পক্ষে কাজ যতটা সম্ভব কঠিন করে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। এতে চ‚ড়ান্তভাবে দেশের অসুবিধা হবে ও জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি হবে। আমি মনে করি, করোনা মহামারি এবং কার্যকর ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য আমাদের পক্ষে যত দ্রæত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেয়া উচিত। মাইক ডিওয়াইন, যিনি সংক্রমণের ভয়াবহ উত্থান ঠেকাতে লড়াই করছেন, সিএনএন’কে বলেন, ‘আমরা এখন জানি যে, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এবং দেশের স্বার্থে এ পরিবর্তনটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সে প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।’ অ্যান্টনি ফাওসি ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা প্রত্যাহার করার আহŸান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের সাবেক কয়েকজন শীর্ষ উপদেষ্টা বলেছেন যে, বেপরোয়াভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প ভুল করছেন। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ