মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রেড সি বা লোহিত সাগর অঞ্চলের রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষার পরিস্থিতির সত্যিকারের চালচিত্রটি বোঝার জন্য দুটি মূল প্রশ্ন দিয়ে শুরু করতে হবে: লোহিত সাগর অঞ্চলটিতে কি রয়েছে? কোন দেশ এবং সংস্থাগুলোর সেখানে শান্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা উচিত? এই প্রশ্নগুলি মৌলিক এবং উত্তরগুলি জটিল। উপক‚ল সংলগ্ন দেশগুলো, আঞ্চলিক নীতিনির্ধারকগণ এবং আন্তর্জাতিক পরাশক্তি সকলেরই বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য রুটের মধ্য দিয়ে বিনা বাধায় প্রবেশের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের আগ্রহ রয়েছে। তবুও এটি বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল অঞ্চল।
লোহিত সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অনেকগুলো দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে। এগুলো প্রকাশ্য বিদ্রোহ অথবা ভারী রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চল ও বৃহত্তর আফ্রিকায় সাংস্কৃতিকভাবে বিস্তৃত সুদান অতীতের সমস্যাগুলো মোকাবেলা করছে এবং সমসাময়িক আন্দোলন, সামরিক নীতিনির্ধারকদের ও আঞ্চলিক স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার লড়াই করছে। ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অব্যাহত সামাজিক আন্দোলন, আঞ্চলিক বিভাজন এবং সশস্ত্র সংঘাত দেশটির গোত্রভিত্তিকি সাংবিধানিক সরকারের সীমাব্ধতা প্রকাশ করছে। সোমালিয়া যখন বিগত তিন দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতার চক্রটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে, তখন ইরিত্রিয়া সরকারের ওপর আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ চাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
ঐতিহাসিক শক্তিসমন্বয়ক মিশরের হাত থেকে লোহিত সাগরের আফ্রিকা ও উপসাগরীয় সহযোগিতার শর্তাবলী নির্ধারণের ক্ষমতাটি চলে গেছে। লোহিত সাগরের পূর্ব তীরও অস্থিতিশীলতা এবং জটিল পরিবর্তনের মুখোমুখি। ইয়েমেনের যুদ্ধ, উপসাগরীয় আধিপত্যের প্রতিদ্ব›িদ্বতা, তেলের দর পতনে কারণে অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইসরাইলের স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান পরিবর্তনের কারণে এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
এটা স্পষ্ট যে, এ অঞ্চলের সহযোগিতার সংস্কৃতি, যা অবিশ্বাস ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্কের কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, সেটিই স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। আফ্রিকা ও উপসাগরীয় দেশগুলির বর্তমান এবং ভবিষ্যত ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, তুরস্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকরাও ঝুঁকিতে রয়েছে। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।