মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এরই মধ্যে ব্যাগে পুরে ফেলা ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য জর্জিয়াতেও জয় পেয়েছেন। ১৯৯২ সালের পর এবারই প্রথম কোনো ডেমোক্র্যাট যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেল। জর্জিয়াতে এ জয় বাইডেনের বিজয়কে আরও সুসংহত করল। রাজ্যটির ১৬টি নিয়ে তার ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ৩শ’ ৬-এ।
এডিসন রিসার্চের ভবিবষদ্বাণী অনুসারে, নর্থ ক্যারোলাইনাতে জিততে যাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরাজয় স্বীকার না করলেও এখন পর্যন্ত তিনি মাত্র ২শ’ ৩২টি ইলেকটোরাল ভোট ব্যাগে পুরেছেন। কাকতালীয়ভাবে চার বছর আগের নির্বাচনেও বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ছিল এমনই, ৩শ’ ৬ ও ২শ’ ৩২। সেবার ৩শ’ ৬ ইলেকটোরাল ভোট অর্জনের পর ট্রাম্প তার জয়কে ‘ভ‚মিধস’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিছু ইলেকটর পক্ষত্যাগ করায় শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬-র দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দাঁড়িয়েছিল ৩শ’ ৪ বনাম ২শ’ ২৭ এ।
আনুষ্ঠানিকভাবে হার স্বীকার না করলেও শুক্রবারই ট্রাম্প প্রথম জানুয়ারিতে একটি সম্ভাব্য নতুন প্রশাসনের দেখা মিলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিনই তিনি নির্বাচনের পর প্রথমবার কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তার প্রশাসনের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের এ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে খানিকটা বিমর্ষ দেখালেও রিপাবলিকান প্রার্থী নিজের পরাজয় স্বীকার করেননি; জো বাইডেনের নামও নেননি। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে হওয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন তিনি, ‘এ প্রশাসন লকডাউন দেবে না। ভবিষ্যতে যাই ঘটুক না কেন, কে জানে সেটা কোন প্রশাসন হবে। আমি মনে করি, সময়ই কথা বলবে।’
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট এদিন সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন নেননি। গণনাকৃত ভোটের ধারা অনুযায়ী বাইডেনকে বিজয়ী বলা হলেও দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান খুবই কম হওয়ায় জর্জিয়াতে ভোট পুনর্গণনা হবে। অবশ্য তাতে ফল উল্টে যাবে না বলেই বিশ্বাস ডেমোক্র্যাট শিবিরের। যদিও জাতীয় পপুলার ভোট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে না, সেখানেও বাইডেন ৫৩.৩ মিলিয়ন ভোট বা ৩.৪ শতাংশ পয়েন্টের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। বাইডেনের প্রাপ্ত ৫০.৮ শতাংশ পপুলার ভোট ১৯৮০ সালে জিমি কার্টারকে পরাজিত করার সময় রোনাল্ড রিগানের ভোটের চেয়েও কিছুটা বেশি।
দ্বিতীয় মেয়াদ জেতার জন্য, ট্রাম্পকে কমপক্ষে তিনটি রাজ্যে বাইডেনের জয়কে পেছনে ফেলতে হবে, তবে এখন পর্যন্ত কোথাও তা ঘটেছে, এমন প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সাইবারসিকিউরিটি এজেন্সি কর্তৃক গেল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পৃথক দুটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ভোট মুছে ফেলা বা হারিয়ে ফেলা, পরিবর্তন করা, বা কোনওভাবেই আপস করা হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ ফেডারেল নির্বাচন সুরক্ষা কর্মকর্তারা খুঁজে পাননি।
রাজ্যগুলো তাদের নির্বাচনের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য এবং ইলেক্টোরাল কলেজের জন্য নির্বাচিতদের নির্বাচনের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর সেফ হারবার সময়সীমার মুখোমুখি হবে, যা আগামী ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।