পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভান্ডারির মাধ্যমে একটি মহল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আজ রোববার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় একক সিদ্ধান্তে কাউন্সিলের নামে চোরাইপথে একতরফাভাবে হেফাজতের কমিটি করা হলে দেশের ওলামায়ে কেরাম মেনে নেবে না। হেফাজতের ঐতিহ্য ভুলুণ্ঠিত করে যারা সংগঠনটিকে একটি চিহ্নিত মহলের ক্রীড়নকে পরিণত করতে চায়, অচিরেই তাদের মুখোশ উন্মোচিত করা হবে। হেফাজতের মূলধারাকে বাদ দিয়ে যারা সংগঠনের একজন পদত্যাগী নেতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ঈমানী সংগঠনকে দ্বিখন্ডিত করার ষড়যন্ত্র করছে ওলামায়ে কেরাম কোনোভাবেই তা’ বরদাশত করবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (শফীপন্থি গ্রুপ) আয়োজিত ‘শাইখুল ইসলাম, শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ঈমানী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর বিরুদ্ধে মহল বিশেষের ষড়যন্ত্র উন্মোচন’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) কে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করে বিভিন্ন কওমি মাদরাসা এবং হেফাজতে ইসলামকে একটি চিহ্নিত মহল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এসবের নেতৃত্বে মূলত হেফাজতের গুটিকয়েক নেতা এবং চিহ্নিত কিছু চরমপন্থি রয়েছে দাবি করে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, হাটহাজারী মাদরাসায় আন্দোলনের নামে আল্লামা শফী (রহ.)-এর রুম ভাঙচুর এবং তার ওপর মানসিক চাপ, অসৌজন্যমূলক আচরণ, মেডিসিন নিতে বাধা প্রদান, তার চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটানো এসবই ছিল তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আল্লামা শফীকে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করা হয়েছে, এ কথা জানার পরও এই চরম ও উগ্রপন্থিদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। মনে রাখতে হবে, সত্যকে কখনও ধামাচাপা দেয়া যায় না। সত্য একদিন উদ্ভাসিত হবেই। বাংলার জমিনে শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর অস্বাভাবিক শাহাদতের বিচার একদিন হবেই। আমরা এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একে এম আশরাফুল হক, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুজিবর রহমান, মুফতি নাসির উদ্দিন কাসেমী, মুফতি আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আতাউর রহমান খান, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা মনসুরুল হক, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মাওলানা আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা শফী (রহ.) এর ছেলে আনাস মাদানী ও মইনুদ্দীন রুহীর উপস্থিত হওয়ার ঘোষণা দিলেও তারা আসেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, হেফাজতের মূল প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তা, যাদের শ্রম ও ঘামে হেফাজতে ইসলাম এই পর্যন্ত এসেছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চক্রান্ত কওমি অঙ্গনের জন্য অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। আর যারা আবেগ তাড়িত হয়ে এসব ষড়যন্ত্রের পিছনে ছুটাছুটি করছেন, তাদের উদ্দেশে বলবো, আপনারা আবেগের বশবর্তী হয়ে দেশ ও উম্মাহর ক্ষতি হয় এমন কাজে জড়াবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।