নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিনক্ষণ নিয়ে ধোয়াশা থাকলেও অবশেষে কেটে গেল তা। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। আসরের উদ্বোধনী দিনে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হবে নাজমুল হোসেন শান্তর মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দিনের আরেক ম্যাচে সাকিব আল হাসানের জেমকন খুলনা লড়বে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রায় এক মাসের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রাথমিক পর্বে ম্যাচ হবে ২০টি। সবমিলিয়ে ম্যাচের সংখ্যা ২৪টি। প্রতিটি দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে দুবার করে। প্রাথমিক পর্বে প্রতিদিন হবে দুটি করে ম্যাচ। যেদিন খেলা থাকবে তার পরদিন ক্রিকেটারদের বিশ্রামের জন্য ফাঁকা রাখা রয়েছে। এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ দুটি হবে ১৪ ডিসেম্বর। পরদিন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। দুদিন পর শিরোপার লড়াই উপভোগ করবে ভক্ত-সমর্থকরা। অন্যান্য ম্যাচে না থাকলেও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম।
সাধারণত দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়, দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। শুক্রবার থাকছে ব্যতিক্রম। দুপুর দুইটায় প্রথম ম্যাচ আর সন্ধ্যা সাতটায় হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রাথমিক পর্বে প্রতিটি দল দুপুরে ও সন্ধ্যায় সমান চারটি করে ম্যাচ খেলবে। আসরের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের প্রথম ক্রীড়াভিত্তিক চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
ক্রীড়াবিদরা মাঠে নৈপুণ্য দেখাবেন, দর্শকরা গ্যালারিতে বসে তাতে মজবেন। দর্শকদের উন্মাদনায় খেলার মাঠেও বাড়বে উত্তেজনার পারদ। কিন্তু এসব বাস্তবতা কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। যদিও সেই বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়েই গ্যালারিতে দর্শক ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। উন্মাতাল গ্যালারির সামনে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস স্থবিরতার পর উপমহাদেশের কোন খেলায় যা একদমই ব্যতিক্রমী দৃশ্য। ফুটবল মাঠে দর্শকের ছবি নজর এড়ায়নি ক্রিকেট বোর্ডেরও। তবে তাদের ভাবনার জগত একটু ভিন্ন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, দর্শক প্রবেশের কোন পরিকল্পনা নেননি তারা। ইচ্ছা থাকলেও এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের আগে তাদের ভাবনায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, ‘দর্শক প্রবেশ করানো নিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই। কিন্তু এটা নিয়ে আমরা নিজেদের ভেতর আলোচনা করব। স্ব্যাস্থঝুঁকি আছে কিনা এসব খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা চাইলেই তো হবে না, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। এটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, অনেকগুলো ব্যাপার এরমধ্যে যুক্ত হয়ে আছে।’
বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে পাশাপাশি আসনে বসে খেলা দেখায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আরও বেড়ে গেল কিনা তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সমালোচনায়ও করতে দেখা গেছে। এটি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে, ‘সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য আমাদের জন্য অবশ্যই অগ্রাধিকার। এখন তো গণস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না। অবশ্যই এটা ভাল যে তারা (বাফুফে) শুরু করেছে। কিন্তু এটার পরের ধাপও আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। চাইলে তো ঢুকানো যায়ই। অনেকদিন পর প্রথম ক্রিকেট খেলা হবে, সুযোগ দিলে হয়ত গ্যালারি ভর্তিই থাকবে। সেটা করাটা কতটা ঠিক হবে। মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে কিনা এই বিষয়টা আমাদের ভাবতে হবে। ’
তবে দর্শক প্রবেশ করানোর সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়েও দেননি তিনি। বাফুফের ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করবে বিসিবি। কথা বলবে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গেও, ‘সেক্ষেত্রে নিজেরা তো আলাপ করবই। এবং এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের সঙ্গে আলাপ করব। তারপরে একটা সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই।’
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হয়েছে নতুন এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্রতিটি দল ১৬ জন করে মোট ৮০ ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে খুলনা। আর সবচেয়ে কম খরচে দল বানিয়েছে রাজশাহী।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পাঁচ দল :
বেক্সিমকো ঢাকা : মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি।
জেমকন খুলনা : সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন সিনিয়র, এনামুল হক বিজয়, শামীম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শেখ মেহেদী, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, রনি তালুকদার, আনিসুল ইমন, রেজাউর রহমান, জাকের আলি অনিক, রকিবুল হাসান (সিনিয়র), মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সানজামুল ইসলাম।
গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম : মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হাসান (অনূর্ধ্ব-১৯ পেসার)।
ফরচুন বরিশাল : তামিম ইকবাল, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, তৌহিদ হৃদয়, তানবির ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম, সোহরাওয়ার্দি শুভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।