মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এখন ‘পিছু হাঁটছে’। তারা এখন দেশের সংস্থাগুলোর সাথে সংলাপ করতে চাইছে, যা তাদের আগের অবস্থানের বিপরীত। শুক্রবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রেলপথ মন্ত্রী শেখ রশিদ একথা বলেন। শেখ রশিদ বলেন, ‘এখন তারা রিভার্স গিয়ারে রয়েছে। তারা বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অপসারণ করা হলে তারা আলোচনায় রাজি আছেন।’ এর একদিন আগে পিএমএল-এন এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ সমঝোতার সুরে বলেছেন যে, তিনি আলোচনার বিরোধী নন। তবে, সেই আলোচনার জন্য পূর্বশর্ত হবে ‘ভুয়া সরকার’ অপসারণ। তার এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে সমালোচকরা বলছেন, তার এবং তার বাবা নওয়াজ শরীফ একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতনের জন্য তাদের প্রতি আহবান করছেন, যাদেরকে তারা সাংবিধান বিরোধী কাজ করার জন্য এতদিন সমালোচনা করে এসেছেন। রশিদ বলেন, ‘গিলগিট-বালতিস্তানে (জি-বি) তার দলের ভবিষ্যৎ দেখে মরিয়ম তার বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন এবং তার ও নওয়াজের সেনাবাহিনী বিরোধী বক্তব্যগুলির বিরুদ্ধে পিএমএল-এন-এর মধ্যে থেকে এখন প্রতিবাদ হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, যিনি আর্থিক দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং তাকে সাত বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে, তিনি ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রকাশ্যে সামরিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। মরিয়ম, যিনি তার বাবা নওয়াজ শরীফের কাছে আপাতত রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন, তিনি বলেছেন যে, তিনি সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনার বসতে রাজি। কিন্তু তিনি সরকারের সাথে এক টেবিলে বসবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, যার দল পিপিপি’র সাথে মরিয়ম একটি নতুন রাজনৈতিক জোট করেছেন, তিনি সেনার বিরুদ্ধে শরীফের করা অভিযোগ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি আশা করছেন যে শরিফ শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন। বিলাওয়ালের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মরিয়ম দাবি করেছিলেন যে, তার বাবা অভিযোগ করার আগেই তার অনেক প্রমাণ নিজে থেকে উঠে এসেছে। ‘শওকত আজিজ সিদ্দিকী, বিচারক আরশাদ মালিক এবং ডন লিকসের আকারে এই সত্য প্রকাশিত হয়েছে,’ তিনি দুই বিচারপতির কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছিল। সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।