Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উচিত জবাব দেবেন মোদি

বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কেউ পরীক্ষা নিতে চাইলে তাকে উচিত জবাব দেওয়া হবে। রাজস্থানে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে গিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সীমান্তে সেনা জওয়ানদের সঙ্গেই দীপাবলি কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনার মধ্যেও এ বছর তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বছর রাজস্থানের জয়সলমেরে লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে পৌঁছে গিয়েছেন মোদি। পাক সীমান্ত লাগোয়া এই পোস্ট কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে। শুক্রবারই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। এর ফলে ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ-এর মোট পাঁচ জন সেনা নিহত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন সাধারণ মানুষও। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ। একই সঙ্গে চীনকেও তিনি ফের বার্তা দিয়ে রাখলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সেনা জওয়ানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ভারতের। কিন্তু লোঙ্গেওয়ালা এমন একটি পোস্ট, যার নাম প্রত্যেক ভারতীয় জানে। লোঙ্গেওয়ালার যুদ্ধের কথাও প্রত্যেক ভারতবাসীর জানা। আগামী বছরই লোঙ্গেওয়ালায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সেনা জওয়ানদের উদ্ধুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকেই বলেন কেন আমি প্রত্যেক বছর দীপাবলি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটাই। আমরা নিজেদের পরিবার, কাছের মানুষের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করি। আর আমার কাছের মানুষ, পরিবার হলেন আপনারা। অপরদিকে, পাঞ্জাব-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কৃষক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং পীযূষ গয়াল। এ নিয়ে গত দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার ঐক্যে পৌঁছাতে বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। শুক্রবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের অন্তত ৪০ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রীরা। বৈঠকের পূর্বশর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী তোমর এবং রেল, খাদ্য তথা উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী গয়াল। এর আগেও কৃষক বিক্ষোভ কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৪ অক্টোবর কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। ভারতের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করতে রাজি হননি কৃষক নেতারা। এর পর বৈঠকে আমলার বদলে মোদি সরকারের মন্ত্রীদের উপস্থিতির দাবি জানিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলো। পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি-আইন

১৫ নভেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ