বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের শীর্ষ কওমি আলেম আল্লামা আহমদ শফী পরবর্তী কান্ডারি নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন করতে আগামীকাল রোববার দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে ৩৫০ জন কওমি আলেমকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আমির ও মহাসচিব নির্বাচন করতে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত তারাই আল্লামা শফী পরবর্তী কান্ডারি নির্বাচন করবেন। বৈঠক বা কাউন্সিলকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা কল্পনা বিরাজ করছে। এসবকে কেন্দ্র করে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ইনকিলাব পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।
হেফাজতের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকালের কাউন্সিলে দাওয়াত দেওয়া হয়নি আল্লামা আহমদ শফী অনুসারী ও বর্তমান কমিটির কয়েকজন নেতাকে। আল্লামা শফি অনুসারীদের মধ্যে তার ছেলে আনাস মাদানী, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা হাসনাত আমিনী ও মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহীসহ কয়েকজনকে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেয়া ও নানা সাংগঠনিক অভিযোগের কারণে বিতর্কিত হওয়ায় বৈঠকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাদেরকে আগামী কমিটি থেকে বাদও দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে দাওয়াতপ্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, অরাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিকে তারা হেফাজতের নেতৃত্বে চান। তাদের মতে, নতুন নেতৃত্বে বাবুনগরী আমির হয়ে আসতে পারেন এবং হেফাজতের ঢাকা মহানগরী আমির আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, খিলগাঁ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল ইসলাম বা মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জি মহাসচিব নির্বাচিত হতে পারেন। তবে মহাসচিব হিসেবে মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, ড. আফম খালিদ হোসাইন, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসেন ও মাওলানা আলতাফ হোসেনের নামও বলছেন কেউ কেউ।
এদিকে কেউ বলছেন, হেফাজতে ইসলামের আসন্ন কমিটি থেকে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীদের বাদ দেয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিকল্প হেফাজতে ইসলাম গঠনের চিন্তা নিয়ে মাঠে নেমেছেন আল্লামা আহমদ শফী অনুসারীরা। এরই মধ্যে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এতে সম্ভাব্য আমির ও মহাসচিব পদে চিন্তা করা হচ্ছে বেশ কয়েকজন প্রবীণ আলেমকে। আমির হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বেফাকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান, বেফাকের সাবেক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
এসব বিষয়কে নাকচ করে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এই প্রতিবেদককে বলেন, হেফাজের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। দেশের মানুষের ঈমান-আকীদা সংরক্ষণ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে হেফাজত এগিয়ে যাবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের উপস্থিতিতে ও সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে হেফাজতের বৈঠকে সঠিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবেন ইনশায়াল্লাহ। তিনি অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যে কেউ চাইলে বিকল্প প্লাটফরম সৃষ্টি করে সংগঠন করতে পারেন। এতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। হেফাজতের বাইরে গিয়ে নতুন কোনো প্লাটফরম হলে এতে হেফাজতে ইসলামের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, দেশের শীর্ষ কওমি আলেমরা হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেই রয়েছেন। তারা বিকল্প কিছু করলেও বেশিদিন টিকবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। দাওয়াত দেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাওয়াত দেয়ার ব্যাপারে আমরা পজেটিভ বা নমনীয় থাকলেও তারা নিজেরাই মিডিয়ায় এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে হেফাজত সম্পর্কে নানা অবান্তর ও বিভ্রান্তিমূলক কথা বার্তা বলে দাওয়াত পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।