Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেইমারকে মনে করিয়ে দিল প্যালাসিওর চোট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ম্যাচের ২৭ মিনিট চলছে তখন। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ থেকে ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক সেন্টারব্যাক নিকোলাস ওতামেন্দি বলটা উড়িয়ে মারলেন মিডফিল্ডে। সেটার দখল নিতে গিয়ে হেড করলেন বায়ার লেভারকুসেনের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এজেকিয়েল প্যালাসিও। ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি, পেছন থেকে বলের দখল নেওয়ার জন্য দৌড়ে এসে ঝাঁপ দিয়েছেন প্যারাগুয়ের স্ট্রাইকার অ্যানহেল রোমেরো-ও। রোমেরো বলের দখল তো নিতে পারলেনই না, উল্টো ঝাঁপ দিতে গিয়ে প্যালাসিওর পিঠের নিম্ন ভাগে বেশ জোরে হাঁটু দিয়ে মেরে বসলেন।

ব্যস, মাটিতে পড়ে কাতরাতে শুরু করলেন প্যালাসিও। চেহারা দেখে কারওর বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না, যে বেশ লেগেছে এই তরুণ মিডফিল্ডারের। মাটি থেকে আর উঠে দাঁড়াতেই পারেননি। পরে প্যালাসিওর জায়গায় টটেনহাম হটস্পারের জিওভান্নি লো চেলসোকে মাঠে নামাতে হয়। তবে এমন বাজে ট্যাকলের পরেও লাল কার্ড তো দূর, রোমেরোকে ন্য‚নতম হলুদ কার্ড দেখিয়েও সতর্ক করেননি ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাফায়েল ক্লস।
চোটটা দেখে বা চোটটা সম্পর্কে পড়ে কিছু কী মনে পড়ছে? ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঠিক একই ধরনের চোটে পড়েছিলেন ব্রাজিল তারকা নেইমার। মাঝ মাঠে বল দখলের জন্য লাফিয়ে উঠেছিলেন হুয়ান ক্যামিলো জুনিগা। বল দখল করা তো দূর, উল্টো হাঁটু দিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের পিঠের নিম্ন ভাগে বেশ জোরে আঘাত করে বসেন। জুনিগার হাঁটুর আঘাতে মাটিতে ছিটকে পড়েন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গেই চোখে মুখে ফুটে ওঠে প্রচন্ড ব্যথার চিহ্ন। ৮৮ মিনিটে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। এক মিনিট সময়ও নষ্ট না করে নেইমারকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ফোর্তালেজা হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জমায়েত হন অগণিত নেইমারের ভক্ত। ‘ফোর্সা নেইমার’ বা ‘শক্ত হও নেইমার।’- স্লােগানে মুখরিত হয়ে ওঠে হাসপাতালের চারপাশ। শক্ত হয়ে লাভ হয়নি সেবার। বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান এখন পিএসজিতে খেলা এই তারকা। ক্যাস্তেলাও স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচটির সঙ্গে শুধু নেইমারের নয়, গোটা ব্রাজিলেরই দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে। হুয়ান ক্যামিলো জুনিগার ট্যাকলে নেইমারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া, পরের ম্যাচেই জার্মানির সঙ্গে নেইমারহীন ব্রাজিলের ‘মিনেইরাও-ট্র্যাজেডি’। ৬৪ বছর পর আরেকবার ঘরের মাঠে দুঃস্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়া— নেইমারের এক চোটে কত অপ্রাপ্তি জুটেছিল সেবার ব্রাজিলের কপালে!
গুরুত্বের দিক দিয়ে হয়তো প্যালাসিওদের এই ম্যাচটা নেইমারের ওই ম্যাচের সমান নয়। তবে চোটের ধরনের দিক দিয়ে সমান অবশ্যই। নেইমারের মতো মেরুন্ডেে চিড় নিয়ে প্যালাসিওসও ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে, বুয়েনস এইরেসের সানাতোরিও ফিনোকিয়েত্তো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এখন এই তরুণ। আর্জেন্টিনার মেডিকেল দল জানিয়েছে, মেরুদন্ডের বাঁ দিকের প্যারাভার্টিব্রাল লুম্বার এলাকায় চোট পেয়েছেন প্যালাসিওস। ফলে চিড় ধরেছে সেখানে। বেশ কয়েক দিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে চোটের ভয়াবহতা কমাতে ও পুনর্বাসনের কাজে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্যালাসিওর-চোট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ