বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ডোপ টেস্টের আওতায় (মাদকের নমুনা পরীক্ষা) আসছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) সদস্যরা। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ হলেই তার ডোপ টেস্ট করা হবে। সিলেটের পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন। তার এই হুশিয়ারির পর এসএমপি তিন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য নড়েচড়ে বসেছেন। পুলিশ কমিশনারের এমন হুশিয়ারিতে সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অধিনস্থ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে সর্তক করে দিয়েছেন। এসএমপি কমিশনারের এমন হুশিয়ারিতে মাদক সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরইমধ্যে প্রতিটি থানায় সচেতনতামূলক সভা করে পুলিশ কমিশনারের সতর্কবার্তা জানান দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মহানগর পুলিশের ছয়টি থানা সহ কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সিলেট নগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় এসএমপি কমিশনার এমন হুশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, মহানগর পুলিশের প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য রয়েছেন। কোনো পুলিশ সদস্যের যাতে মাদকের সঙ্গে নূন্যতম সংশ্লিষ্টতা না থাকে, এ জন্য কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, সন্দেহ হওয়া মাত্র যে কোনো পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হবে। এদিকে, পুলিশ কমিশনারের হুশিয়ারির পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বৈঠক করে অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের হুশিয়ার করে দিয়েছেন। সিলেট শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের জিরো টলারেন্স নীতি ও মাদকের সংশ্লিষ্টতা পেলে যে কোনো পুলিশ সদস্য ডোপ টেস্টের আওতায় আসবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্র জানায়, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানের ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়াও অনেক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকাকালে মাদক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এসএমপি পুলিশকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসএমপির ডিবি পুলিশের অনেক সদস্য, সহ অনেক ফাঁড়ি ইনচার্জ রয়েছেন মাদকের সাথে জড়িত। বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে সম্পৃক্ততাও তাদের। কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফয়েজ এর নাম সেই তালিকায় রয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।