পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সহিংসতার জন্যই আগুন, জড়িতরা শনাক্ত : পুলিশ, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দিয়ে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে : বিএনপি
দীর্ঘদিন পর আবারও রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন ্ লোকায় ৯টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় দলটির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুকসহ কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মীকে। দিনভর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। হঠাৎ করেই রাজধানীতে এধরনের আগুন দেয়াল ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেছে বিএনপি। দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের অধিকার হরণের চিত্র আড়াল করতেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দিয়ে গণপরিবহনে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে রাজধানীর পৃথক পৃথক এলাকায় ৯টি বাসে আগুন দেয়া হয়। তবে কোথাও কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশের ধারণা, যাত্রীবেশে কেউ বাসগুলোতে আগুন লাগিয়ে নেমে গেছে। ইতোমধ্যে ককটেলসহ রাজধানীর তুরাগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেল শিকদার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, প্রথমে মতিঝিল মধুমিতা সিনেমা হলের পাশে অগ্রণী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন দেয়া হয়। এরপর দেড়টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে, শাহবাগে আজিজ মার্কেটের সামনে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে, পৌনে দুইটায় কমলাপুরে সোনালী ব্যাংকের স্টাফদের একটি বাসে, দুই টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে, আড়াইটায় বংশাল থানার নয়াবাজার ব্রিজের ঢালে দিশারী পরিবহনের একটি বাসে ও বিকেল সাড়ে ৪টায় ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পৃথক পৃথক স্থানে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট পাঠানো হয়। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
তবে পুলিশ বলছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে মোট ৯টা বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫ -তে পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৪৭৪) অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টার দিকে মতিঝিল থানাধীন মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৫১৫), ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলন্ত গাড়ি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-০৫৮৯) ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৩-১৫৭২), ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-০৬৪৪) এবং বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১- ৯২৫৫) আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন এলাকায় জৈনপুরী পরিবহন (চট্ট-মেট্রো-জ-১১-০৭১৮), ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পূবালী পেট্রল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫০০১), ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫৩২৫) আগুন দেয়। পুলিশের ধারণা, যাত্রীবেশে কেউ বাসগুলোতে আগুন লাগিয়ে নেমে গেছে। কে বা কারা লাগিয়েছে, কেন লাগিয়েছে, তার কারণ জানা যায়নি।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. ওয়ালিদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় তুরাগ এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্বত্তরা পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন দিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এসব ঘটনায় পৃথক পৃথক থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে চলমান উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের ফুটপাতে এক পান বিক্রেতা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গতকাল দুপুরে ওই সড়কে তেমন যানজট ছিল না। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হটাৎ করে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসের পিছন দিকে আগুন লেগে যায়। এ সময় মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা এসে আগুন নেভান।
আগুন লাগার সাথে সাথে যাত্রীরা দ্রæত বাস থেকে নেমে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগুনে প্রায় পুরো বাসই পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে রেকার দিয়ে গাড়িটি নিয়ে যায়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা দেখেননি। আগুন লাগার সাথে সাথে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দেওয়ান পরিবহনের বাসটির চালক মো. রায়হান বলেন, আমার ৪০ সিটের গাড়িতে ১২-১৩ জন যাত্রী ছিলেন। দুইটার দিকে কাঁটাবন সিগন্যালটা পার হওয়ার পরই হঠাৎ আমার গাড়ির পেছন দিকটায় আগুন দেখতে পাই। তবে পেছনের সিটগুলো পুরো খালি ছিল। আগুন দেখে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার পর আমিও দ্রæত নেমে যাই। তিন মিনিটের মধ্যে পুরো গাড়িটা পুড়ে যায়। দেওয়ান পরিবহনের বাসটির মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার দুটি বাস আছে। এর মধ্যে পুড়ে যাওয়া গাড়িটির বয়স মাত্র দুই মাস। পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরে গেলে যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে বাস তেকে নেমে যান। কে বা কারা কীভাবে আগুন দিয়েছে, তাৎক্ষণিক বোঝা যায়নি।
শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন আর রশীদ বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে ও প্রেসক্লাব এলাকায় এই দুটি বাসে আগুন দিয়েছে। কেউ হতাহত হননি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের কাছে ভিক্টর পরিবহনের বাসে আগুনে দেয়ার ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ করেই বাসে আগুন দেখতে পান তিনি। পরে দ্রæত বাস থেকে যাত্রীরা নেমে যান। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে বাসটি সরিয়ে নেন। তিনি আরো বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পল্টন থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গুলিস্তানে সদরঘাটগামী ভিক্টর পরিবহনের বাসটিতে অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এখন পর্যন্ত আমরা যে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি তাতে মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে আমরা এখনো নিশ্চিত নয়।
সরকার দলকেই দায়ী করছে বিএনপি: রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় সরকার দলকেই দায়ী করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে, ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ-নির্বাচনের দিনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে বিভিন্ন গণপরিবহনে আগুন দেয়া হয়েছে। বিএনপি এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপি মনে করে, উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ন্যাক্কারজনক ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি, অনিয়ম, কারচুপি, সন্ত্রাস, বিরোধীদল তথা বিএনপি’র প্রার্থীদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া ও যারা প্রবেশ করেছিল ভোট শুরু হওয়া মাত্রই মারধর করে বের করে দেয়া, আওয়ামী লীগের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভোটকেন্দ্র দখল ও অবরোধ করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, জনগণের ভোটের অধিকার হরণের চিত্র আড়াল করার লক্ষ্যে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। সরকার এসব দুস্কর্মের মাধ্যমে পূর্বের মতোই বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করা ও এর দায়-দায়িত্ব বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাপিয়ে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করে হয়রানী করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপি সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে বিএনপি কখনোই জড়িত নয়। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নয়, বরং জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করে। বিএনপি জনগণের প্রতি সরকারের এই হীন ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হতে এবং সরকারকে এই হীন রাজনীতির পথ পরিহার করে স্বচ্ছ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছে।
আটক বিএনপির ১২ নেতাকর্মী: গতকাল দুপুরে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ-নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহুত প্রেসব্রিফিং শেষে কার্যালয় ত্যাগ করার সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুকসহ কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্দিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘেরাও করে কার্যত: অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কার্যালয় থেকে যারাই বের হচ্ছেন কিংবা প্রবেশ করছেন সবাইকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং পাশ^বর্তী এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।