গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নির্মাণ কাজ শুরুর কনসালট্যান্সি কার্যক্রম উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার : কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি সুপার স্পেশালাইড হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে কোরিয়ান পরামর্শক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের নিচতলায় শহীদ ডা: মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইড হাসপাতালের কনসালট্যান্সি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সং-ডু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা: কামরুল হাসান খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ডা: মো: শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ডা: এ এস এম জাকারিয়া (স্বপন), কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মো: আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা: এ বি এম আব্দুল হান্নœান, প্রক্টর প্রফেসর ডা: মো: হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ডা: জুলফিকার রহমান খান, দক্ষিণ কোরিয়ান কনসালট্যান্সি টিমের প্রধান মি হ্যান, প্রকল্পের উপ-পরিচালক ডা: নূর-ই-এলাহী (মীম) প্রমুখ।
বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সং-ডু বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই সুপার স্পেশালাইসড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো হবে।
ভিসি প্রফেসর ডা: কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সুপার স্পেশালাইসড হাসপাতাল নির্মাণের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি বড় স্বপ্ন পূরণ হবে। এ হাসপাতাল হবে দেশের সকল মানুষের সম্পদ। দেশের মানুষ এখান থেকে সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করতে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের পেছনে নিজস্ব ৩ দশমিক ৮২ একর জমিতে দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড এ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক এ হাসপাতালে মোট ১১টি সেন্টার থাকবে। সেন্টারগুলো হলোÑ কার্ডিওভাসকুলার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড অ্যান্ডোক্রাইনোলজি, এক্সিডেন্টাল ইমার্জেন্সি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ও অনকোলজি উল্লেখযোগ্য। হাসপাতালটি নির্মিত হলে এসব সেন্টারে সংশ্লিষ্ট রোগের যাবতীয় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে এবং দেশের আপামর জনসাধারণ দেশেই সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার আরো উৎকর্ষ সাধন হবে। প্রকৃতপক্ষে এ হাসপাতালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশে প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজডভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান শুরু করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নামের এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৩৩৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ১ হাজার ৪৭ দশমিক ৩৩৮৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। অত্যন্ত সহজ শর্তে শতকরা মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রথম ১৫ বছর ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরবর্তী ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।