মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধুমাত্র তার ধর্মবিশ্বাসের কারণে তাকে ‘একঘরে’ করে ফেলেছিলেন। সোমবার এলবিসি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সাদিক খান বলেন, ‘মুসলমান হওয়া আগেও সহজ ছিল না, এখনও নয়। মুসলমানদের জন্য গত চার বছরের মতো কঠিন সময় আর কখনও ছিল না।’ ট্রাম্পের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি হচ্ছেন মুক্ত বিশ্বের প্রথম কোন নেতা, একজন মূলধারার রাজনীতিক, যিনি এমন দৃষ্টিভঙ্গি স্থির করেছিলেন যে, ইসলাম ও পশ্চিমের ‘অসামঞ্জস্য’ রয়েছে।’ তিনি জানান, সামান্য কিছু মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে ট্রাম্প সবসময় ধারণা পোষণ করতেন যে, আমরা সবাই (মুসলিমরা) হয় সন্ত্রাসবাদী, না হয় অনেক খারাপ। সত্যি বলতে, আমাকে একঘরে করে দেয়ার পেছনে আমার ধর্মবিশ্বাস ছাড়া আর কোনও কারণই নেই।’ তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্ম ও কথার কারণে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ‘অতিরিক্ত চাপ’ বহন করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ট্রাম্প সংখ্যালঘুদেরকে ও তার চোখে যারা আলাদা, তাদের সাথে যে আচরণ করেছিলেন তাতে বিশ্বজুড়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নন।
২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প অনেকবার টুইটারে সাদিক খানকে অপমান করেছিলেন। ২০১৭ সালে লন্ডন ব্রিজ হামলার পরে মেয়র সাদিক খানের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প লিখেছিলেন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের দেয়া অজুহাত দুঃখজনক, যাকে দ্রুত ‘ভয়ের কোনও কারণ নেই’ বিবৃতি তৈরি করতে হয়েছিল। এরপরে সাদিক খান বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টেকে আমাদের লাল গালিচা শুভেচ্ছা দেয়া উচিত, কারণ তার নীতিমালা আমাদের যা কিছু আছে, তার বিরুদ্ধে যায়।’
২০১৮ সালে, ট্রাম্প আবারও খানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে, তিনি অপরাধ দমনে কিছুই করতে পারেননি, ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, সেখানে সমস্ত ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, এর সাথে বাইরে থেকে আসা অপরাধীরাও যুক্ত হয়েছে। পরের বছর তিনি টুইট বলেন যে, খান জাতীর জন্য একটি লজ্জা, সে লন্ডন শহরকে ধ্বংস করছে!’ খানের সম্পর্কে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময়ে করা হয়েছি, যখন ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হচ্ছিল, যে সময়ে ব্রিটেনের মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন ‘মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন’ জনগণের মধ্যে মুসলিম বিরোধী ঘৃণ্য অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
গত সোমবার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোন মুসলিম রাজনীতিবিদের বিশ্বাসের কারণে তার সাথে বৈষম্য করা গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানে আরও বলা হয়, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, জনজীবনের সকল ক্ষেত্রেই ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।’ সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।