গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আদাবরস্থ মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশের সিনিয়র এএসপিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ঐ হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। ভর্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পরপর হাসপাতালে কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশের কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।
জানা যায়, সোমবার সকালে মানসিক সমস্যায় ভুগে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন আনিসুল করিম। তিনি ৩১ তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তার বাড়ি গাজিপুরের কাপাসিয়ায়। তার বর্তমান কর্মস্থল ছিলো বরিশাল।
ইতোমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
এমডি আল আমিন মির্জা এই সংক্রান্ত ভিডিওটি শেয়ার করে তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘উনি পুলিশ তাই কেউ প্রতিবাদ করবে না। কোন সভা সমাবেশ হবে না। কোন স্মারকলিপি প্রদান করবে না কেউ। যে ব্যক্তিকে এভাবে মারা হলো তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ৩১তম বিসিএস দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন পুলিশের এএসপি পদে। আজ তিনি চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের স্টাফ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করলেন। ঠিক যদি এর উল্টোটা হতো তাহলে গর্জে উঠতো দেশ। এখন কেউ গর্জে উঠবে না। কেউ অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করবে না। মানববন্ধন করবেনা কোন সংগঠন। অনশন করবে না কেউ। শাহাবাগ চত্বরে মিছিল হবে না। শুধু মৃত্যুর পূর্বে তারা বলে যাবে 'ভালো থেকো স্বদেশ...। ধিক্কার জানাই হাসপাতাল, ক্লিনিক নামের কসাইখানাগুলোর ব্যবস্থাপনাকে।’
আসিফুর রহমান লিখেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হইনি। কারণ এগুলো এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তবে সত্যি কথা বলতে যার ফ্যামিলি থেকে সে চলে গেলো, সেই বুঝতেছে তার চলে যাওয়ায় কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। দেখে খুবই দুঃখ লাগলো। এদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
শাকিল আহমেদ পিয়াসের প্রশ্ন, ‘যে দেশে পুলিশের একজন সিনিয়র এএসপিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সে দেশে আপনি, আমি কতটুকু নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাতে ঘুমাই?
বিচারের দাবি জানিয়ে রবিউল ইসলাম লিখেন, ‘আমি জানি না স্যারের সাথে কি ঘটেছিল, তবে আমার দেখা মতে তিনি একজন ভালো মানুষ। তবে সিসি ফুটেজ যা দেখলাম তা খুবই ন্যক্কারজনক, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের বিচারের আওতায় নেওয়া হোক।’
এমডি সাদ্দাম রনি লিখেন, ‘মানুষ আসলেই কি আমরা মানুষ? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩৩তম ব্যাচ প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সিনিয়র এএসপি (৩১ বিসিএস, পুলিশ) আনিসুল করিম ভাইকে কয়েকজন মিলে পিটিয়ে হত্যা করেছে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসাপাতালের কর্মচারীরা। যেখানে পুলিশ নিরাপদ নয়, সেখানে আমরা তো সাধারণ মানুষ। তার পরিবারকে আল্লাহ ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন আমিন। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হউক। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
তোফায়েল আহমেদ লিখেন, ‘মানুষিক হাসপাতালে এভাবে মানুষকে মারবেন কেন? তাকে শান্ত করার জন্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস যন্ত্র ব্যাবহার করার কথা ! তারা জানেন সে মানুষিক রোগী । এর দায় এড়াতে পারে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।