Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা যৌক্তিক বলে পুলিশকে সমর্থন ট্রাম্পের

প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াকিতে এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা যৌক্তিক বলে পুলিশের প্রতি সমর্থন জানালেন দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পুলিশের প্রতি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন। সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগের মধ্যে বর্ণবাদের ইস্যুটি জাতীয় বিতর্কে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়েই বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। মার্কিন পুলিশের বর্ণবাদ প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু হয় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনও। প্রসঙ্গত, গত শনিবার মিলওয়াকিতে এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পুলিশের দাবি সিলভাইল স্মিথ নামে ওই কৃষ্ণাঙ্গের হাতে একটি পিস্তল ছিল। তবে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, পুলিশ বিকল্প ব্যবস্থা না নিয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের সরাসরি গুলি করে হত্যা করছে। এ ঘটনার পর গত রোববার থেকে শহরটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও একটি পেট্রোল স্টেশনে অগ্নিসংযোগও করেছে। ট্রাম্প তার সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের আইন মান্য করতে হবে নতুবা আমরা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ব। পুলিশের সাফাই গাইতে গিয়ে তিনি বলেন, পিস্তলটি ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাথার দিকে তাক করা ছিল। হয়তো এটি দিয়ে গুলি করা হতো। এটা নিয়ে কে সমস্যায় পড়তে চায়? আর এ কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, হয়তো এটা সত্য নয়। যদি এটা সত্য হয়, তাহলে লোকজনের দাঙ্গায় জড়ানো উচিৎ নয়। তার এ বক্তব্যে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াউকিতে সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ নিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, এ হত্যাকা- যৌক্তিক সে ব্যাপারে প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। মিলওয়াউকির পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় পুলিশের গুলিতে সিলভিলে স্মিথ নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহত হন। পুলিশের দাবি, মিলওয়াউকি শহরের একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই তরুণের গাড়িটিকে থামতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না করে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় সে। পরে তাকে ধাওয়া করতে গিয়ে পুলিশ গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই তরুণ। স্মিথের হাতে একটি অস্ত্র ছিল এবং তা তাকে ফেলতে বলার পরও না ফেলায় গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের বিরোধিতা করে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে মিলওয়াউকির স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর দোকানপাট ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংসতা হয়। গত মঙ্গলবার মিলওয়াউকির শেরিফ ডেভিড ক্লার্কের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দাবি করেন, স্মিথকে গুলি করার যৌক্তিকতা রয়েছে। পরে মিলওয়াউকিতে একটি নির্বাচনী সমাবেশেও অংশ নেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করাটা জনগণের শান্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। সেই জনগণ, যারা কাজ করে বাঁচতে চান এবং নিজেদের সন্তানকে নিরাপদে স্কুলে পৌঁছে দিতে চান। দাঙ্গাকারী, সহিংসতাকারী কিংবা ডাকাতদের জীবনকে আরো আরামদায়ক করার কাজ আমাদের নয়। ফক্সনিউজ, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা যৌক্তিক বলে পুলিশকে সমর্থন ট্রাম্পের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ