Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হোয়াইট হাউজে কিভাবে কাটছে ট্রাম্পের সময়

পরাজয়ের আভাসে ক্ষুব্ধ ও হতাশ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

গত মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) শেষ রাতে জনসমক্ষে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। পরে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাষণে নির্বাচন, ভোট গণনা নিয়ে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করায় প্রেসিডেন্টের ভাষণ স¤প্রচার বন্ধ করে দেয় বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম। এরপর থেকেই যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। যেখানে তার চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী জো বাইডেন ভাষণ এবং প্রকাশ্যে দেখা গেলেও ট্রাম্পের দেখা মিলছে না। এমতবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন হোয়াইট হাউজে কিভাবে কাটছে ট্রাম্পের সময়? নির্বাচনে বাইডেনের কাছে অনেক ভোট পিছিয়ে পড়ার পর থেকেই নিজেকে অনেকটা আত্মগোপন করে রেখেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখন সুতার ওপর ঝুলছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। অঙ্কের হিসাবে সম্ভাবনা একদমই কমে যাচ্ছে ট্রাম্পের।

বিশেষ করে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনায় ‹জালিয়াতির› যে অভিযোগ তুলেছেন সেটি নিয়ে তার দল রিপাবলিকান পার্টিতে চরম মতভেদ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পও মনে করছেন রাজপথ এবং গণমাধ্যমে সমর্থকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন তিনি পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ এবং হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছে ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের একটি প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে সিএবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্ষুব্ধ ট্রাম্প প্রচুর টিভি দেখছেন এবং একটু পর পর ফোন দিচ্ছেন। তবে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না বলেও শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। সঙ্কটপূর্ণ মুহুর্তে সব কিছু মিলিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গুঞ্জন উঠেছে, হোয়াইট হাউজের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারাও তাকে এড়িয়ে চলছেন। মূলত হোয়াইট হাউজের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা ট্রাম্পের পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই তার সঙ্গ ছাড়তে শুরু করেছেন। নির্বাচনী প্রচার শিবিরের কয়েকজন কর্মকর্তারাও তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বলে আমেরিকান গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

হোয়াইট হাউজে এখন কি চলছে? এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের ভিতর ঘোরপাক খাচ্ছে। চূড়ান্তভাবে হেরে গেলে কি পদক্ষেপ নেবেন ট্রাম্প? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মানুষ। এর উত্তর কেবল সময়ই বলে দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত ২৬৪টি ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন বাইডেন। জয়ের জন্য বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল ভোট। নেভাদা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া এই তিন রাজ্যেই এগিয়ে আছেন বাইডেন। এসব রাজ্যের যেকোন একটিতে জিতলেই বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।



 

Show all comments
  • M.A. Sayed ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
    ট্রাম্প কাকু বড়ই বেকুব, যদি ভোটের আগে আমাদের নুরুল হুদারে নিয়োগ দিতো তবে নির্বাচনে হারতে হতো না !!!
    Total Reply(0) Reply
  • Raihan Bhuiyan ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    এটা বাংলাদেশ না। এটা আমেরিকা এখানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলা অনেক শক্তিশালী।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Yamin Ahmed ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    ওখানে নুরুল হুদাকে নিলে তো এই সমস্যা‌ হতো না, এই নির্বাচনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, পুনরায় নুরুল হুদাকে নিয়ে নির্বাচনের কাজকর্ম শুরু করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon Khan ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    অবশেষে কারাগারে আবদ্ধ হতে এই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তি এক নিমিষেই পৃথিবীর সামনে পাগল বলে সাব্যস্ত হবে এটাই বাস্তবতা কিছু করার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Nurul Absar ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    হায়রে ট্রাম্প ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী হয়না যতই লাফালাফি করো কোন কাজ হবে না
    Total Reply(0) Reply
  • ওয়ালিদ হাসান রিপন ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    আমেরিকা জনগণ ভোট দিতে পেরেছে আমাদের কপাল পোড়া দেশ বাংলাদেশ সেখানে ভোট দিতে ই পারিনা ,,,ভোটের নাম করে বেহুদা নারী পুরুষের লাইন মিডিয়া ভাইরাল করে বিশ্ব দেখে মনে করে ভোট হচ্ছে আর ভিতরে ভোট দিচ্ছে মৃত মানুষ ভোতে দেয় সনধা বেলায় ইসি দাঁত কিলিয়ে বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে পছন্দের পার্থী জয়ী হয়ে ছে
    Total Reply(0) Reply
  • twocents ৮ নভেম্বর, ২০২০, ৯:০৯ এএম says : 0
    Until the Public Administration and Law enforcement agencies take a neutral role in Bangladeshi elections and do their job with honesty, chances are very slim that the ruling party will ever be defeated in Bangladeshi Elections.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ