পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ নানা দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রংপুরসহ সারাদেশের জেলাশহরগুলোতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শাহাবাগ মোড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি পালিত হয়।
গতকাল শনিবার ‘সা¤প্রদায়িকতা রুখো, বীর বাঙালি জাগো’ প্রতিপাদ্যে নিয়ে এই গণঅবস্থান পালন করা হয়। গণঅবস্থান শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মস‚চিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত হেফাজতে ইসলামকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দিতে পারল না (সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ওপর হামলা)। আমি ধন্যবাদ জানাই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির নুর হোসাইন কাসেমীকে। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব। তিনি গত পরশু এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘মানবাধিকারবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। আমরা লক্ষ করছি রাসুলের (সা.) মর্যাদা রক্ষার ঈমানি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এত সা¤প্রদায়িক গোলোযোগ সৃষ্টির চক্রান্ত করছে।’ এই কথাগুলো তো আমরাই বলেছি গত ২ নভেম্বরের সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ জানান, ঢাকার শাহবাগ মোড়ে, চট্টগ্রামে নিউমার্কেটের সামনে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে জেলা, উপজেলা, মহানগর ও বিভাগীয় সদরের মূল সড়ক সংযোগস্থলে গণঅবস্থান ও অবস্থান শেষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরের সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন করা হয়েছে। একই কারণে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি, ধর্মপ্রাণ শহিদুন্নবীকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের আশু মুক্তি, শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে এই গণঅবস্থান।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ফ্রান্সের ঘটনাকে পুঁজি করে সা¤প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেই এ কর্মসূচি।
এ সময় পরিষদের কর্মীরা সা¤প্রদায়িকতার কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, মুরাদনগর পার্বতীপুরে হামলা কেন জবাব চাই, দিতে হবে, ধর্ম অবমাননার কথিত দায়ে হামলা করা চলবে না চলবে না, ধর্মবিদ্বেষ ছড়ায় যারা দেশ ও জাতির শত্রু তারা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে, ৭২’র সংবিধান মৌল আদলে ফিরিয়ে দাও দিতে হবে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা সইবে না বাংলা ইত্যাদি স্লোগান দেন। গণঅবস্থান কর্মসূচিতে নানা ধরনের লেখা প্লেকার্ড হাতে দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।