নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থেকে বছর শেষ করা নিশ্চিত করেছেন নোভাক জোকোভিচ। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো। ফলে সার্বিয়ান তারকা স্পর্শ করেছেন কিংবদন্তি সাবেক টেনিস খেলোয়াড় পিট সাম্প্রাসকে। শৈশবের নায়কের পাশে বসে আরও একটি রেকর্ডের সুবাস পাচ্ছেন তিনি। আর কিছু সপ্তাহ শীর্ষে থাকলেই জোকোভিচ পেরিয়ে যাবেন সময়ের আরেক সেরা রজার ফেদেরারকে।
গতকাল থেকে কোর্টে গড়িয়েছে সোফিয়া ওপেন। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন না গত মাসে ফেদেরারের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের কীর্তিতে ভাগ বসানো রাফায়েল নাদাল। তাতেই বছর শেষের র্যাঙ্কিংয়ে সবার উপরের স্থানটি ধরে রাখা পাকা হয়ে গেছে জোকোভিচের। এর আগে ২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে এমন নজির স্থাপন করেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা সাম্প্রাস একটানা ছয়বার শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছিলেন (১৯৯৩-৯৮)। ছেলেদের টেনিসের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটিপির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এই অর্জনের জন্য গোটা মৌসুম ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখাতে হয়। নোভাকের ছয়বার শীর্ষে থেকে সাম্প্রাসের রেকর্ড ছোঁয়া দেখতে পাওয়া সত্যিই অসাধারণ।’
ফেদেরার ও নাদাল দুজনেই সমান পাঁচবার করে বছর শেষ করেছেন শীর্ষে থেকে। সুইজারল্যান্ডের তারকা ফেদেরার ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে এবং স্প্যানিশ তারকা নাদাল ২০০৮, ২০১০, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার কীর্তি ফেদেরারে দখলে। এখন পর্যন্ত মোট ৩১০ সপ্তাহ চ‚ড়ায় থেকেছেন তিনি। তবে হুমকির মুখে রয়েছে তার রেকর্ড।
আগামীকাল শীর্ষে থাকার ২৯৪তম সপ্তাহ শুরু করবেন জোকোভিচ। তিনি যদি বর্তমান ছন্দ বজায় রাখেন এবং বাকিরা যদি তাকে সরাতে না পারে, তাহলে আগামী বছরের ৮ মার্চ ফেদেরারকে পেছনে ফেলবেন জোকার খ্যাত তারকা। চলতি বছর এরই মধ্যে একটি গ্র্যান্ডস্ল্যামসহ (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন) চারটি শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকগুলো ছোট-বড় টুর্নামেন্ট বাতিল হলেও অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে ৪২ ম্যাচের ৩৯টিতেই শেষ হাসি হেসেছেন তিনি। এদিন আরেকটি দুঃসংবাদ পেয়েছেন ফেদেরার। সেই যে জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে জোকোভিচের কাছে হেরেছিলেন; তারপর থেকে টেনিস কোর্টে আর ফেদেরারের দেখা মেলেনি। করোনাকে পাশ কাটিয়ে ইউএস ওপেন হয়েছে, ফ্রেঞ্চ ওপেন হয়েছে, এখানে-সেখানে এটিপি টেনিস টুর্নামেন্ট চলছে, কিন্তু ফেদেরার ঘরে বসে। হাঁটুতে যে চোট সুইস টেনিস কিংবদন্তির! দুবার অস্ত্রোপচারের ধকলও সামলে এই কদিন হলো আবার অনুশীলনে ফিরেছেন।
লম্বা এই বিরতির প্রভাব তার ৩৯ বছর বয়সী শরীরে, তার টেনিসে কতটা পড়েছে, সেটা ফেদেরার আবার কোর্টে ফেরার পর বোঝা যাবে। তবে ধাক্কাটা ফেদেরারের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে পড়েছে ঠিকই। দুই নয়তো তিন, অথবা- বছর দুয়েক ধরে র্যাঙ্কিং টেবিলে এর মধ্যেই ঘোরাঘুরি চলছিল ফেদেরার। কিন্তু আগামী সোমবার প্রকাশিতব্য র্যাঙ্কিংয়ে তাঁকে চার নম্বর থেকেও সরিয়ে দিতে যাচ্ছেন দানিল মেদভেদেভ।
পরশু প্যারিস মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টাইন দিয়েগো শোয়ার্টজমানকে ৬-৩, ৬-১ গেমে হারিয়েই ফেদেরারকে টপকে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার মেদভেদেভ। সময়ের হিসাবে ১ বছর ৮ মাস পর র্যাঙ্কিংয়ের সেরা চারে থাকছেন না ফেদেরার। দিনের হিসাবে ঠিক ৬০০ দিন পর এমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে তার। সেরা চারের বাইরে ফেদেরার সর্বশেষ ছিলেন গত বছরের ১৮ মার্চ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে। আর সেরা চারের বাইরে থেকে মৌসুম শেষ করার অভিজ্ঞতা ফেদেরারের হতে যাচ্ছে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।